বিশেষ প্রতিবেদন :
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে চালক সংকটে ভূগছে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স। এএফআর নিশান ও ঢাকা মেট্রো-ছ ৭১১৯১৭ নাম্বারে হাসপাতালটির নিজস্ব ২ টি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও চালক রয়েছে মাত্র এক জন।
ফলে সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নিম্ম আয়ের হাজারো গরীব রোগী। বাধ্য হয়ে সিংহাংশ রোগীদের বাড়তি ভাড়া দিয়ে ব্যাবহার করতে হচ্ছে বেসরকারী ও ব্যাক্তি মালিকানাধীন এ্যাম্বুলেন্স গুলো। মাত্র একজন চালক দিয়ে পরিচালিত সরকারী এই এ্যাম্বুলেন্সটি প্রায়ই মেডিকেলের কাজে ব্যবহৃত হয় বলেও ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। বাধ্য হয়েই তাদের বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স ব্যাবহার করতে হয়।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ঘাসফুলের আহবায়ক মো: জিসানুর রহমান ও সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগী জানান, এত বড় হাসপাতালে মাত্র দুইটি সরকারী এ্যাম্বুলেন্স, তাও আবার চালক সংকটে ভূগছে। সেবার মান উন্নয়নে এ্যাম্বুলেন্স বাড়ানো খুবই জরুরী। এদিকে চালক সংকটের কারনে নিম্ম আয়ের মানুষ বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স ব্যাবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। এ বিষয়ে কতৃপক্ষের নজরদারী প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সরকারী এ্যাম্বুলেন্স চালক আক্তার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মেডিকেলের ডাকে যে কোনো কাজে আমাকে যেতে হয়, নৌকা বাইচ থেকে শুরু করে যে কোনো প্রোগ্রামে মেডিকেল টিম হলেই এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আমার কাজ করতে হয়।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ জেলা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক ডা: মো: আব্দুল আউয়াল জানান, চালক সংকটের বিষয়ে আমরা আবেদন করেছি, বিষয়টি মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। দ্রæতই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা আশাবাদী।
এ্যাম্বুলেন্স এর মাসিক আয়-ব্যায়ের হিসেব বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিষয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতিও জানান তিনি।