স্টাফ রিপোর্টার :
৪০বছরের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড বায়তুল আমান জামে মসজিদ পুন:নির্মাণের দাবিতে শুক্রবার সেখানে সড়কের ওপর জুম্মার নামাজ পড়লেন মুসুল্লীরা। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে, খোলা আকাশের নীচে মুসুল্লীরা জুম্মার নামাজ আদায় করেন।
নামাজের আগে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এ্যাড: আব্দুল মজিদ ফটো, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি লিয়াকত আলী ভান্ডারী, মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য আবুল বাশার, জেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব বশির রেজা, মসজিদ কমিটির সভাপতি খবিরুল আলম চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম মাহিদ, দপ্তর সম্পাদক জুলফিকার রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এনামুল হক রুবেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পুননির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সড়ক উন্নয়নের নামে ৪০ বছরের মসজিদটি অপসারণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রশাসনে পক্ষ থেকে মসজিদটি পুননির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। বরং, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ এলাকাবাসী নিজ অর্থায়নে জমি কিনে এবং মসজিদের জন্য দানকৃত জমির ওপর মসজিদটি পুন:নির্মানের উদ্যোগ নিলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে বাঁধা দেয়া হয়। তারা বলেন, ভূমি রেকর্ডের বিদ্যমান খতিয়ান- এস.এ আর.এস-কে পাশ কাটিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সি.এস খতিয়ান অনুসরণ করে যায়গাটি নিজের দাবী করছে। তারা বলেন, প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একশ্রেণীর অসাধু ব্যক্তি সরকারের চলমান উন্নয়নকে নস্যাৎ করার জন্য এই ধরণের স্পর্শকাতর বিষয়ে আঘাত করা হচ্ছে।
এদিকে মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে সড়ক উন্নয়নের স্বার্থে ওই মসজিদসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে যা এখনও চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য,১ সেপ্টেম্বর দুপুরে একই দাবীতে মুসুল্লীরা মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে মানব বন্ধন করেছিলেন।