স্টাফ রিপোর্টার :
প্রায় ১ যুগ পর মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগে কুঁচতে থাকা ইউনিট কমিটি গুলোতে জলছে আলোর বাঁতি। উপজেলা গুলোতে চলছে সম্মেলন, ইউনিয়ন পর্যায়ে বাড়ছে যুবলীগের শো-ডাউন ও নিয়মিত কর্মসূচি। প্রতিটি ওয়ার্ডেই চলছে প্রস্তুতি সভা ও পুরাতন ত্যাগী নেতাদের খুঁজে বের করার কাজ। ইতিমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে সিঙ্গাইর ও ঘিওর উপজেলা যুবলীগের সম্মেলন, ঘোষণার অপেক্ষায় আছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন চরাঞ্চলেও পড়ছে যুবলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের প্রভাব।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, মাত্র পাঁচ মাস বয়সী এই কমিটি ইতিমধ্যে দুই উপজেলার সম্মেলন করেছে, পাঁচ উপজেলায় বর্ধিত সভা, সম্মেলনের প্রস্তুতি সভা, উপজেলা পর্যায়ে বড় পরিসরে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন ও বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসূচি, ভয়াল ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা কর্মসূচি পালন করেছে। এছাড়াও জেলা যুবলীগের আয়োজনে ৩১ আগষ্ট বৃহৎ আকারে পালিত শোক দিবসের কর্মসূচি জানান দিয়েছে যুবলীগের অবস্থান।
সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৬ মে জেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে আহবায়ক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান জনি কে যুগ্ম আহবায়ক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ঠ আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় যুবলীগ।
এর পর থেকেই জেলা যুবলীগের নির্দেশে সাংগঠনিক অবকাঠামো পুনরায় জোড়দাড় করতে ব্যাস্ত সময় পাড় করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ভাগ্য খুলেছে দীর্ঘ দিনের ত্যাগী, পরিশ্রমী ও অবহেলিত নেতাদের।
জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির দুই সদস্য সাদিকুল ইসলাম সোহা ও মনিরুল ইসলাম মনি জানান, ভারত উপ মহাদেশের সর্ব বৃহত যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের বিচক্ষণতায় মানিকগঞ্জবাসী দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর একটি চমকপ্রদ কমিটি উপহার পেয়েছে। ঘোষণার পর থেকেই চলছে সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি ও মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গুলোকে গতিশীল করতে সম্মেলনের প্রস্তুতি। এটা সুধু মাত্র মাঠের নেতাদের তালিকাবদ্ধ করে কমিটি গঠন করার কারনেই সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান জনি জানান, পদ নিয়ে বসে থাকার মত নেতা যুবলীগে দরকার নেই, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে শুধু জেলা উপজেলা নয়, ঘর থেকে ঘর পর্যন্ত যুবলীগের কার্যক্রম বিস্তৃত থাকবে। আমরা সকল ইউনিটের ত্যাগী নেতৃবৃন্দদের চিনি, তাদের সাথেই আমাদের দীর্ঘ দিনের পথ চলা, জেলার সাতটি উপজেলার ইউনিয়ন ও প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিদিনই কোনো কোনো সাংগঠনিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী দিনে মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগ বাংলাদেশ যুবলীগের শ্রেষ্ঠ ইউনিট হিসেবে উপস্থাপিত হবে বলেই আমি আশাবাদী।
এ বিষয়ে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা জানান, কমিটি অনুমোদন হওয়ার দিন থেকেই শুরু হয়েছে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের শুভ সূচনা করা হয়। এর পর প্রয়াত কর্ণেল মালেক ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত সাইদুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা যুবলীগ সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করা হয় । উপজেলা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ে আমরা অন্তত শতাধিক সভা ও সাংগঠনিক বৈঠক করেছি। দুইটি উপজেলায় সম্মেলনের পাশাপাশি সকল উপজেলায় বর্ধিত সভা, সম্মেলন প্রস্তুতি সভা, ত্যাগী ও পুরাতন নেতাদের অন্বেষন করে তালিকাবদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা মাঠের রাজনীতি করি। এ মাঠের সকল নেতাকর্মী আমাদের দীর্ঘ দিনের সহযোদ্ধা। আমরা আশাবাদী মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতেই থাকবে চমক। আরো দশ গুন শক্তি নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে যুবলীগ সব সময় মাঠে থাকবে।
ছাড়াও বাকি উপজেলা গুলোতে সম্মেলনের হাওয়া বইছে। ত্যাগী দেশপ্রেমী আদর্শবান নেতাদের তালিকা বদ্ধ করা হচ্ছে।