স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অন্যতম নেতা কাজী রায়হান উদ্দিন টুকু হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি…….রাজিউন)।
তিনি রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর সেওতা এলাকার কাজী জালাল উদ্দিন মজনু মিয়ার বড় ছেলে। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি স্ত্রী, ৭ বছরের শিশু কণ্যা, ৩ ভাই ও ৩ বোনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
কাজী রায়হান উদ্দি টুকু সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের জিএস, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি ছাড়াও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব এস এ জিন্নাহ কবীর বলেন, কাজী রায়হান উদ্দিন টুকুসহ বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় জামিন পেতে রবিবার সকালে তিনিসহ অনেকেই হাইকোর্টে যান। সেখানে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা অবস্থানকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি জিএম রফি (অপু) ও সাধারন সম্পাদক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু বলেন, কাজী রায়হান উদ্দিন টুকু ছিলেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। তিনি অসুস্থ থাকার পরও দলের জন্য কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে জেলা যুবদলের পক্ষ থেকে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষনা করা হয়েছে। সকল নেতাকর্মীরা কালো ব্যাচ ধারন ও দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সোমবার জানাযা শেষে উত্তর সেওতা কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুর খবর শুনে উত্তর সেওতার বাড়ীতে নেতাকর্মীরা চলে আসে।