এস.এম আকরাম হোসেন :
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে দুজন নারীর আত্নহত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিয়ের ১০দিনের মাথায় স্বামীর বাড়ি পয়লা গ্রামে আত্নহত্যা করেন গৃহবধূ রোকেয়া আক্তার (২০)।আর বাবার বাড়ি পাইপাড়া গ্রামে আত্নহত্যা করেন সেলিনা আক্তার(৩২)।দুটি ঘটনাই ঘটেছে সোমবার দুপুরে।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিজানুর রহমান জানান, শিবালয়ের তেওতা ইউনিয়নের পয়লা গ্রামের মৃত জিন্দার আলীর ছেলে মোঃ ওয়াসিমের সাথে ঢাকার সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকার শুকুর আলীর মেয়ে রোকেয়ার বিয়ে হয় গত ১নভেম্বর। রবিবার রোকেয়াকে বাবার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে স্বামী মো. ওয়াসিম। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে স্বামীর বাড়িতে ঘরের আড়াঁর সাথে ওঁড়না পেছিয়ে রোকেয়া আত্নহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।
সোমবার রাতে নিহতের মা-বাবাসহ স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যান থানায় এসে ঘটনাটি জানান। রোকেয়ার মা-বাবার এ বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই জানিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের আবেদন করেন। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় এবং মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, বাদ আছর জানাজা শেষে ওই নারীর মরদেহ স্বামীর নিজ গ্রামের কবরাস্থানে দাফন করার প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া একই উপজেলার পাইপাড়া গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে সেলিনা আক্তার(৩২) বাবার বাড়িতে গলায় ওঁড়না পেছিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে জানা যায়। একই গ্রামের শাহাদত আলীর(৬০) সাথে সেলিনার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তবে তিনি বাবার বাড়িতেই থাকতেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, সেলিনা আক্তার মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।পরিবারের সদস্যরা এ সংক্রান্ত চিকিৎসার কাগজপত্রও দেখান। কোন পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের সদস্যদের কাছে ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তর করা হয়। সোমবার বিকালে লাশ দাফন করা হয়।