স্টাফ রিপোর্টার :
ঘিওরে মসজিদের সামনে ঈদগাহ মাঠে ব্যাটমিন্টন খেলতে নিষেধ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকে কুপিয়েছে এলাকার বখাটে যুবকরা। গুরুতর আহত তিনজনকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঘিওর থানা ও আদালতে মামলা হলেও পুলিশ এখনো অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার উভজানি গ্রামে।
গুরুতর আহত তিনজন হলেন- আবদুল হালিম শিকদার (৬০), শাহজাহান শিকদার (৫৪) ও ইমরান শিকদার (২৫)।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার উভাজানি গ্রামের শিকদার পাড়া জামে মসজিদের সামনে ঈদগাহ মাঠে ব্যাটমিন্টন খেলার জন্য বুধবার বিকেলে স্থানীয় বখাটে যুবক বুলবুল শিকদার, চঞ্চল শিকদার, বাঁধন, নাদিম বিশ^াস, নাঈম বিশ^াস, শেখ রাকিব সহ আরো অজ্ঞাত ৬/৭ জন খেলার ঘর বানায়। এসময় তারা মসজিদের বিদ্যুতের মিটার থেকে বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে সন্ধ্যা বেলায় ব্যাটমিন্টন খেলতে চায়। কিন্তু মসজিদ কমিটির সভাপতি হালিম শিকদার রাজি না হয়ে তাদের অন্যত্র খেলতে অনুরোধ করে। এতে বখাটে যুবকরা হালিম শিকদারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। এরই জের ধরে মাগরিবের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটেরা অতর্কিতভাবে লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হালিম শিকদারের মাথা ও পায়ে কোপাতে থাকে। এসময় পাশে থাকা তার ভাই শাহজাহান শিকদার ও ছেলে ইমরান শিকদার এগিয়ে এলে তাদেরও এলোপাথারিভাবে কোপাতে থাকে। এতে তিনজনই মারাত্মক জখম হয়। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মারাত্মক জখম অবস্থায় হালিম শিকদার, শাহজাহান শিকদার ও ইমরান শিকদারকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, আহতদের মাথা ও পায়ে মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। তাদের সিটি স্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আবদুল হালিম শিকদারের অবস্থা বেশী গুরুতর।
এব্যাপারে ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম বলেন, এই ঘটনায় হালিম শিকদারের ছেলে ইমরান হোসেন শিকদার বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।