ঘিওর প্রতিণিধি:
মরণ ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধ আব্দুল আজিজ (৮৩) আর নেই। বুধবার মধ্য রাতে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই যোদ্ধা। মানিকগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সদস্য সচিব মরহুম আব্দুল আজিজ (অবঃ প্রাপ্ত আর আই) এর মুত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষজন। মৃত্যুকালে স্ত্রী,দুই পুত্র,দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মিয় স্বজন ও শুভানুদ্ধায়ী রেখে গেছেন। বৃহস্পতিবার বাদ যোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এই যোদ্ধার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী এলাকার আব্দুল আজিজ পুলিশে চাকুরীরত অবস্থায় ঝাপিয়ে পড়েছিলেন দেশ রক্ষায়। রনাঙ্গনের এই সাহসী যোদ্ধা জীবন বাজি রেখে টানা ৯ মাস যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর লাল সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন বাংলার মাটিতে।
মরহুম আব্দুল আজিজের মৃত্যুর খবরে তার বাড়ি বানিয়াজুরীতে ছুটে আসেন বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা। শেষবারের মতো তার সহযোদ্ধারা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া এই বীর যোদ্ধাকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষজন ছুটে আসেন। দুপুরে মরহুম আব্দুল আজিজের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বানিয়াজুরী ইউনিয়র পরিষদ মাঠে। হাজারো মানুষ তার নামাজে জানাযায় অংশ নেন। পরে রাস্ট্রীয় মর্যাদায় আব্দুল আজিজের দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাযা নামাজে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম,এডিশনাল এসপি মো. মহীউদ্দিন,ঘিওর থানার ওসি আশরাফুল আলম,মরহুম আব্দুল আজিজের বড় পুত্র কুমিল্লার মুরাদগর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম,ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলম,মেয়ের জামাই ওসি সৈয়দুজ্জামান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মোমিন উদ্দিন খান, ঘিওর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আজিজ মিয়াসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।