এস এম আকরাম হোসেন:

মানিকগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসহা-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সোমবার মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, কুচকাওয়াজ, শারীরিক কসরত, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, রচনা ও সংগীত প্রতিযোগিতা এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সুর্যোদয়ের পরপরই জেলা শহরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন এবং পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করে জেলা প্রশাসন। এরপর পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, মানিকগঞ্জ পৌরসভা, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব, জেলা সাংবাদিক সমিতি, উদীচী, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও প্রথম আলো মানিকগঞ্জ বন্ধুসভাসহ বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন শহীদদের শ্রদ্ধা জানায়।এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড: গোলাম মহীউদ্দীন, পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রমজান আলী, এবিএম হেলাল উদ্দিন, সাধারন সম্পাদক আব্দুস সালাম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ডায়বেটিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মমিন উদ্দিন,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও প্যানেল মেয়র আব্দুর রাজ্জাক রাজা, যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান জনিসহ জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা  উপস্থিত ছিলেন।  এছাড়া বিএনপির দুই গ্রুপ আলাদা আলাদা ভাবে স্মৃতিস্তম্বে ফুল দেন। এক গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড: জামিলুর রশিদ খান ও অন্য রিতা গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তোজাম্মেল হক তোজা।

আগে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে (রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট) শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।

সকাল নয়টার দিকে শহরের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে জেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে সরকারি শিশুপরিবারের শিক্ষার্থীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপস্থিত সকলের দৃষ্টি কাড়ে।

বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে শহরের বিজয় মেলা মঞ্চে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে তিন শ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। দিবসটি উপলক্ষে জেলা যুবলীগ শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।