কক্সবাজারে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনের ফলে স্বর্ণা রশিদ (২১) নামের ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
গত শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বর্ণা রাজধানী ঢাকায় এ লেভেলে পড়াশোনা করতেন। তার বাড়ি ঢাকার কোতোয়ালী এলাকায়। বাবার নাম হারুনুর রশিদ পাপ্পু।
পুলিশ জানায়, স্বর্ণা রশিদ তার ১০ থেকে ১২ জন বন্ধুর সঙ্গে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন। শুক্রবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছে ‘হোটেল জামান’ নামের একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। বিকেলে সৈকত ভ্রমণ শেষে কক্ষে ফিরে তারা সবাই মাদক সেবনে বসে যান। সন্ধ্যার পরপরই মাদকের ঘোরে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন স্বর্ণা। সেখান থেকে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যার পর ওই মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে যখন আনা হয় তখন আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিটে ভর্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু তার সাথে থাকা বন্ধুরা ঢাকায় ফিরে যাওয়ার কথা বলে সিটে ভর্তি না হয়ে হোটেলে ফিরিয়ে নিয়ে যান।’
ডা. শাহীন আরও বলেন, ‘সঙ্গীরা মাদকসেবী মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর আবারও হাসপাতালে আসেন। তখন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা। আমি মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখি ততক্ষণে সে মারা গেছে।’
ডা. শাহীন জানান, অতিরিক্ত পরিমাণে ইয়াবা সেবন করায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরীফ উল্লাহ স্বর্ণার পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানান, মূলত স্বর্ণা তার মামার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলেই বন্ধুদের সঙ্গে কক্সবাজার আসেন। শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পেয়ে শনিবার সকালে ব্যবসায়ী বাবাসহ পরিবারের আরও কয়েক সদস্য কক্সবাজারে ছুটে আসেন। শনিবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. খায়েরুজ্জামান দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘তার মৃত্যুর খবর শুনে কয়েকজন বন্ধু পালিয়ে গেলেও একজনকে আটক করে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘হোটেলে ইয়াবা সেবনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ইয়াবা সরবরাহ কোথায় থেকে হলো তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’