ডেস্ক রিপোর্ট : স্পেন, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সে ঘূর্ণিঝড় এলসা আঘাত হানার ফলে এই নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে স্পেনে ৫ জন এবং পর্তুগালে ২জন নিহত হয়। শনিবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে একটি ভবনের ধবংসাবশেষ ভেঙ্গে ৩২ বছরের কোরীয় এক নারীর মাথায় পড়লে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এনরিক লোপেজ সাংবাদিকদের জানান, ভবনটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় ২০১৫ সালে এটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আন্দালুসিয়ার ইমার্জেন্সি সার্ভিস জানায়, শুক্রবার বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে ৬৮ বছর বয়সী এক ডাচ নাগরিক নিখোঁজ হন। ৩টি দেশে এখনও ঝড়ো হাওয়া বিরাজ করছে। তীব্র ঝড়ের ফলে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের সঙ্গে পোর্তো মহরের রেল যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ৩টি দেশ লণ্ডভণ্ড করে দেয়ার পর ঘূর্ণিঝড়টি ব্রিটেনের দিকে অগ্রসর হয়েছে। ইয়ন
এলসার প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছাস এবং ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সড়কে বন্যার পানি জমে থাকায় এবং গাছপালা উপড়ে পড়ায় দুর্যোগ কবলিত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্পেনে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঘন্টায় ১৭০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়েছে। দেশটির গ্যালিসিয়া উপকূলে রেড এলার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার ফ্রান্সের আবহাওয়া দপ্তর দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমের ১৪টি অঞ্চলে ১৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের আশঙ্কায় অরেঞ্জ এলার্ট জারি করে। রোববার ফ্রান্সের ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ করসিকার সব বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি দেশের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ফেরি যোগাযোগও বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা।