এস এম আকরাম হোসেন:
মানিকগঞ্জে বাসাবাড়ীতে দিনের বেলা মেয়ের হাত পা বেধে ও মুখে কাগজ গুজে দিয়ে পাশের রুমে মা মাহমুদা বেগম (৪০) নামের এক গৃহবধুকে খুন করেছে দুবৃর্ত্তরা।
বুধবার সকালে মানিকগঞ্জ শহরের দক্ষিন সেওতা এলাকার ৫তলা বিশিষ্ট নিজ বাড়ির ২য় তলা থেকে ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহতের স্বামী অলিয়ার রহমান বাসার ৫ম তলার ছাদে কাজ শেষে ঘরে ঢুকে মেয়ের হাত-পা বাধা ও মুখে কাগজ গুজা অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় পাশের রুমে স্ত্রীকে গলায় গামছা বাধা অবস্থায় মৃত দেখতে পায়। নিহত মাহমুদা দক্ষিণ সেওতা এলাকার পলট্টি ব্যবসায়ী অলিয়ার রহমানের স্ত্রী। নিহত মাহমুদা এক ছেলে ও এক মেয়ে দুই সন্তানের জননী। ছেলে বাসায় ছিলেন না। স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়াশোনা করে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে ডিভোর্স প্রাপ্ত বলে জানা গেছে।
নিহত মাহমুদার স্বামীর চাচাতো ভাই জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড: আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, তার ভাই এবং ভাবীর মধ্যে খুব ভালো সর্ম্পূক ছিল। কয়েক মাস আগে হজ্ব করে আসছে তারা। তার ভাই ফোন বলে যে তার স্ত্রীকে কে যেন মেরে ফেলেছে। খবর শুনে এসে তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম হঠাৎ ঘরে ঢুকেই ৬/৭ জন যুবক তাদের ঘরে প্রবেশ করে। পরে মেয়ে জতিকে হাত-পা বেধে ও মুখে কাগজ গুজে দেয়। পাশের রুমেই মাকে গলায় গামছা পেচিয়ে শাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তিনি এ ঘটনার সাথে জরিতদের খুজে বের করে বিচার দাবী করেন।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বলেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে দূর্বত্তরা বাসায় ঢুকে মেয়েকে হাত-পা ও মুখে কাগজ গুজে দিয়ে পাশের রুমে মাহমুদাকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। কি কারনে খুন হয়েছে, খুনের রহস্য কি? আমরা উদঘাটন করার চেষ্টা করছি। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।