স্টাফ রিপোর্টার:
চক্ষু চিকিৎসা গবেষণার স্বীকৃতিস্বরূপ স্বর্ণপদক অর্জন ডা:বিপুল কুমার সরকার,বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক, মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর থানার ঠাটেংগা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিমল কুমার সরকার ও ঝর্ণা রানী সরকারের জেষ্ঠ সন্তান। তিনি এই বছর বাংলাদেশের চক্ষু চিকিৎসা গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বর্ণপদক – এম এ মতিন গোল্ড মেডেল অর্জন করেছেন এবং যেটা বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত ৪৭ তম বার্ষিক সম্মেলন ২০২০ এ প্রদান করা হয়। ডা: বিপুল সরকার ২০০৯ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিসিয়ান & সার্জন থেকে চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি এফসিপিএস লাভ করেন। এর পরেও তিনি ইংল্যান্ড এর ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অফ অপথালমোলজি থেকে এফআইসিও এবং ইংল্যান্ড এডিনবার্গ এর রয়েল কলেজ ওফ ফিজিসিয়ান এন্ড সার্জন, থেকে এমআরসিএস ডিগ্রি লাভের গৌরব অর্জন করেন। ২০১০ সালে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চক্ষু হাসপাতাল , ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে এবং বর্তমানেও তিনি একই প্রতিষ্ঠানে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন এবং একই সাথে তিনি মানিকগঞ্জবাসীর সঠিক চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করার স্বার্থে প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সূর্যমুখী চক্ষু হাসপাতালে ও ফ্যাকো সেন্টারে চীফ কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এই সময়ে আমেরিকার নিউইয়র্ক আই ইনফার্মারী হাসপাতাল এবং ভারতের অরবিন্দ চক্ষু হাসপাতাল হতে চোখের গ্লুকোমা ও ফ্যাকো সার্জারী এর উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ ও ফেলোসীপ ডিগ্রী গ্রহন করেন।তার এই দশ বছর চক্ষু চিকিৎসা জীবনে প্রায় ১০০০০ চক্ষু রোগির সফল অপারেশন সম্পন্ন করেছেন। ডা:বিপুল সরকার একজন গবেষক হিসেবেও সুনাম অর্জন করেছেন।ইতিমধ্যে তার ১৪ টি জাতীয় ও ৫ টি আন্তর্জাতিক গবেষণা কর্ম (ইউরোপীয় জার্নাল অফ অপথালমোলজি ও জার্মান মেডিকেল সায়েন্স) এ প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি স্পিংজার কর্তৃক প্রকাশিত “এডভান্স অফ ভিশন সায়েন্স ” ভলিউম ২ নামক বইয়ের একজন লেখক। ক্লিনিকাল কাজের সাথে সাথে এই প্রতিভাবান চক্ষু চিকিৎসক শিক্ষক ও মেন্টর হিসেবে দেশ ও দেশের বাহিরে সুনাম অর্জন করেছেন।তিনি সূদুর আফ্রিকার নাইজেরিয়াতে কমনওয়েলথ চিকিৎসকদের গ্লুকোমা ও ক্যাটারেট সার্জারীর উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে এওয়ার্ড অফ এক্সিলেন্স এ ভূষিত হয়েছেন।তিনি এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাটারেক্ট এন্ড রিফ্রাক্টিভ সোসাইটির একজন সদস্য এবং বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির একজন আজীবন সদস্য ও পাবলিকেশন সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শত ব্যাস্ততার মাঝেও অবসর সময়টুকু তিনি তার পরিবারের সাথে কাটাতে ভালবাসেন।উনার সহধর্মিণী ডা:মল্লিকা মহাত্মা একজন প্যাথলোজিস্ট এবং তার চার বছরের একজন ফুটফুটে কন্যা সন্তান রয়েছে। তার এই স্বর্ণপদক অর্জনে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী প্রেশার মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করি।