বিশেষ প্রতিনিধি:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘দেশে এখন কেমন গণতন্ত্র চলছে, প্রত্যেকটা মানুষ তা জানে এবং বোঝে। মানুষ কেবল ভোটের অধিকার নয়, কথা বলার অধিকারও হারিয়ে ফেলেছে। খালেদা জিয়ার নির্দেশ অনুযায়ি দলকে আরও বেশি সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
সোমবার (১৬মার্চ) দুপুরে দলের প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল শেষে সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সেলিমা রহমান বলেন, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ছিলেন বিএনপির রাজনীতিতে একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি শুধু বিএনপির নয়, জাতির সংকটময় মুহূর্তে অত্যন্ত ধৈর্য, প্রজ্ঞা ও সাহসের সঙ্গে সমস্যা মোকাবেলা করেছেন। ভাষাআন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের মুক্তির সংগ্রামে তিনি রেখেছেন অসামান্য অবদান। তাঁর এই অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
এর আগে সেলিমা রহমান প্রয়াত মহাসচিবের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় বিএনপি কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভাপতি শিরিন সুলতানা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহপ্রচার সম্পাদক শামীমুজ্জামান, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গাজী হাবিব হাসান, সহসাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রয়াত মহাসচিবের দুই সন্তান খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু ও খোন্দকার আবদুল হামিদ ডাবলু, জেলা বিএনপির আহবায়ক এ্যাড: জামিলুর রহমান খান, যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান আতা, নুরতাজ আলম বাহার,আজাদ হোসেন খান, মোতালেব হোসেন, পৌর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড: একরাম হোসেন, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ঘিওর পাচুরিয়া গ্রামে ১৯৩৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ভাষাআন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ভাষা আন্দোলনের জন্য তিনি একুশে পদক পান। মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে তিনি পাঁচবার সাংসদ নির্বাচিত হন। একাধিকবার চিফ হুইপ ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দলের মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।