স্টাফ রিপোর্টার :
গত ৭দিনে মানিকগঞ্জে কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হননি। বরং, সুস্থ হয়েছেন গত ২৪ ঘন্টায় ৪জনসহ মোট ১০জন। নতুন করে সুস্থ হওয়া ৪জনের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ২জন এবং শিবালয় ও ঘিওর উপজেলায় রয়েছেন ১জন করে। মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ আজ (রোববার) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, এপর্য়ন্ত সুস্থ হওয়া ১০জন ব্যক্তির মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ৩জন, সিংগাইর উপজেলার ৪জন এবং হরিরামপুর, ঘিওর ও শিবালয় উপজেলার রয়েছেন ১জন করে।জেলায় মোট ২৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তির অন্য ১৩জন তাদের নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন এবং ভালো আছেন বলে জানান তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: লুৎফর রহমান বলেন, এ পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১০ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ২জনসহ মোট ৩জন সুস্থ হয়েছেন। গোপালপুর ভাদুটিয়া গ্রামের একজন ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে গতকাল (শনিবার) রাতে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। সুস্থ হওয়া আরেক ব্যক্তি জয়রা এলাকায় তাঁর নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন। তবে, তাঁর ২০ বছরের মেয়ে এখনও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
এর আগে, ৫ মে টিনপট্টি এলাকার এক নারী ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। তাঁর পরিবারের আরও ৩সদস্য এখন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন।
আক্রান্ত অন্য ৭জনও সুস্থ আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে প্রতিদিন দুইবার স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যক্তিরা গিয়ে তাঁদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন এবং যাবতীয় ঔষুধ সরবরাহ করছেন। আক্রান্তরা কয়েকদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে জানান ডা. মো: লুৎফর রহমান।
এদিকে ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানান, ‘এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯৭১ জন ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে এবং এর মধ্যে ৯২০টি পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। পরীক্ষায় ২৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হওয়ায় তাদের নিজ বাড়ি ও ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে গত ৭দিনে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। অন্যান্যরা নিজ নিজ বাড়িতে চিকিসাধীন আছেন জানিয়ে তিনি বলেন গত ৭ দিনে কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হননি।’
এদিকে, মানিকগঞ্জ জেলা হাসাপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের বেডের সংখ্যা ১৭ থেকে বাড়িয়ে ১০০তে উন্নীত করা হলেও কার্যত সেখানে করোনার চিকিৎসা দেওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।