স্টাফ রিপোর্টার :গরিব অসহায় কর্মহীন মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে সরকার সাধারণ ছুটি কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রথম দিনেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় শারীরিক ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি অনেকেই উপেক্ষা করেছেন।
দোকানপাট ও ব্যবসা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি অনেক জায়গায় মেনে চলা হচ্ছে না। ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই উপেক্ষা প্রকারান্তরে নিজেদের ও আশাপাশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে, তথা করোনার বিস্তারকেই উৎসাহিত করবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১১ মে) নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে সাফল্যের দাবিদার যে দেশটি, সেই দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এ পর্যায়ে কোরিয়া সরকারকে আবারও লকডাউনের পথেই যেতে হচ্ছে।
করোনা চিকিৎসায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার বিস্তার রোধে সরকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় নতুন করে চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অতি সম্প্রতি নতুন করে ২ হাজার ডাক্তার এবং ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছেন। ২ হাজার চিকিৎসক করোনা বিষয়ক কোভিড হাসপাতালগুলোতে পদায়ন করা হয়েছে। সম্মুখসারিতে তারুণ্যের শক্তি যোগ হওয়ায় লড়াইয়ে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে মনে করি।
যারা দলীয় পরিচয়ে অনিয়ম করবেন তাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের শুদ্ধি অভিযান এখনো চলমান।
তিনি বলেন, দেশ যখন করোনার করাল গ্রাসে বিপর্যস্ত তখন জনগণের প্রত্যাশা ছিলো বিএনপি ত্রাণ সহায়তা নিয়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঈদ শপিং না করে সেই অর্থ অসহায় জনগণের মাঝে বণ্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপি জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে ত্রাণের পরিবর্তে দলীয় নেতাকর্মীদের ঈদ উপহার বিতরণ করছে। যা জনগণের দুঃখ দুর্দশার সঙ্গে উপহাসের সামিল।