স্টাফ রিপোর্টার
২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেটে বিড়ির উপর মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবীতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন করেছে মানিকগঞ্জ বিড়ি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে তারা। মানববন্ধনে অর্ধশতাধিক বিড়ি শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে মানিকগঞ্জ বিড়ি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ, শ্রমিক সুপার ভাইজার আরিফ হোসেন, বিড়ি শ্রমিক মোশারফ হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, বিড়ি ফ্যাক্টরীগুলিতে যে সকল শ্রমিক কাজ করে তার অধিকাংশই স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা এবং বয়স্ক নারী, এছাড়া পুরুষ যারা কাজ করে তারা বোবা, বধির, পঙ্গু ও বয়স্ক। বিড়ি কুটির শিল্প। সারাদেশে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক এই বিড়ি শিল্পের সাথে জড়িত। বিড়ির দাম বাড়ানো হলে এই শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়বে।
গ্রামের হতদরিদ্র নারী ও পুরুষ শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের জন্য বিড়ি শিল্প অত্যন্ত বলিষ্ট ভুমিকা পালন করে আসছে। তাই বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে বিবেচনা করার প্রস্তাব করেন তারা।
তারা বলেন, শ্রমিকরা কাজ শেষে ক্লানি দুর করতে কম দামে বিড়ি খেয়ে থাকে। কিন্তু বিড়ির দাম বাড়ানো হলে শ্রমিকরা বেশী দাম দিয়ে বিড়ি কিনতে পারবে না।
উল্লেখ্য যে, ২০১৬-২০১৭ ইং অর্থবছরে বিড়ির মূল্যস্তর ছিল ৭.১০ টাকা তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৯-২০২০ ইং অর্থ বছরে ১৪.০০ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে বিড়ির বাজার হ্রাস পেয়েছে এবং বিড়ির শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কম দামে নকল বিড়ি ক্রয় ও বিক্রয় বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার বিড়ি খাত হতে সেই পরিমান রাজস্ব আহরন করতে পাছেন না। তাই করোনার মহামারীর সময়ে মানিকগঞ্জসহ সারাদেশে গরিব অসহায় শ্রমিক ও ভোক্তার দিক বিবেচনা করে মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক না বাড়িয়ে বরং বিড়ি শিল্পের সাথে জরিত অসহায় শ্রমিকরা যাতে কর্মহীন না হয় সেই লক্ষ্যে মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন বিড়ি শ্রমিকরা।