স্টাফ রিপোর্টার
জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোর পরিকল্পনা করছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড। সেজন্য তারা নিজেদের দেশে বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে চাইছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখনই শ্রীলঙ্কা সফরের সিদ্ধান্ত নেবে না। জানিয়েছেন, বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
সাথে যোগ করেছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা করার পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) কিভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা পর্যবেক্ষণ করবে বিসিবি।
জুলাইয়ের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে বাংলাদেশের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার কথা। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক সূচিতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। এ অবস্থায় আগের সূচি অনুযায়ী সফরগুলো হবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশায়। জানা গেছে, আইসিসিও নতুন ফিউচার ট্যুর প্ল্যান (এফটিপি) করবে। যদি এফটিপি নতুন করে তৈরি করা হয় তাহলে সিরিজ এলোমেলো হবে নিশ্চিত। তবে দ্বিপাক্ষিক সফরে দুই বোর্ডের পারস্পরিক সিদ্ধান্তও গুরুত্ব পাবে।
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো ভাবে সামলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১০২৭ জন। মৃতের সংখ্যা এখনও দুই অঙ্কে পৌঁছায়নি। দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে প্রত্যয়ী শ্রীলঙ্কা। এজন্য মাঠে খেলা ফেরাতে চায় তারা। তবে বিসিবি এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে না।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে বুধবার নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন,‘দেখুন কেউ সিরিজ আয়োজন করতে চাইলেই তো হলও না! আমরা দল পাঠাতে পারব কি না, আমাদের খেলোয়াড়দের পাঠানো ঠিক হবে কি না এই মুহূর্তে সেগুলো ভাবনার বিষয় আছে। কোথায় থাকবে, কি করবে। এগুলো সহজ সিদ্ধান্ত না। একটা জায়গা এখন ভাল আছে, একমাস পরে দেখা গেল আবার হচ্ছে ওখানটায়। এটা তো নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে না শেষ কোথায় হবে কবে হবে। কখন কি পরিস্থিতি হয় কেউ বলতে পারছে না।’
‘আমরা অন্যদের পর্যবেক্ষণ করব। আইসিসি কি করে, এসিসি কি করে। অন্য দেশগুলো কি করছে। এখন পর্যন্ত কেউ নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বলতে পারিনি খেলা কবে হবে। আমরাই এক্ষেত্রে প্রথম হবো এটা ভাবা ঠিক না।’ – যোগ করেন বিসিবি প্রধান।
বাংলাদেশের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কা জুলাইয়ে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতকে। তবে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) জানিয়েছে, সরকার থেকে অনুমতি মিললেই তারা সফর করতে পারবে।