স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প এবং শস্য, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খাতে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যকেজ দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঢাকা বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক মীর মোফাজ্জল হোসেন।
(৩০ মে) শনিবার মানিকগঞ্জ জেলাশহরে ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ে সকল শাখা ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীদের নিয়ে এ সংক্রান্ত দিনব্যাপী পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পখাতে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য শস্য, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খাতে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা পৌঁছে দেওয়া হবে ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে। এক্ষেত্রে, কৃষিব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পখাতে ১ হাজার কোটি টাকা এবং শস্য, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খাতে ১ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় চার শতাংশ হারে সুদে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের হাতে ঋণ সুবিধা দ্রুততম সময়ে পৌঁছে দিতে হবে। যাতে এই ঋণ কাজে লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা ঘুরে দাঁড়াতে পারেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক ও মাঠকর্মীদের সরকারের যথাযথ নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে মানিকগঞ্জ অঞ্চলের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সোহরাব জাকির বলেন, মানিকগঞ্জে ব্যাংকটির ১৪টি শাখা আছে। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পখাতে বরাদ্দ পাওয়া গেছে ২ কোটি টাকা এবং শস্য, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ খাতে পাওয়া গেছে ১৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই মানিকগঞ্জের সকল শাখা ব্যবস্থাপক, মাঠ কর্মী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারী বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে এই টাকা বিতরণ করা হবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থবিধি মেনে অয়োজিত এই পর্যালোচনা সভায় আরো মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন মানিকগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আল-মামুন, সিংগাইর শাখার ব্যবস্থাপক ফেরদৌস আজম সরকার, ঘিওর শাখার ব্যবস্থাপক আবিদ আহমেদ আফজাল, জাগীর শাখার ব্যবস্থাপক মোর্তজা আহমেদ, ঝিটকা শাখার ব্যবস্থাপক শিবেন্দ্র কুমার কর্মকার প্রমুখ।