1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন

খাদ্য উৎপাদনের ধারা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত: কৃষিমন্ত্রী

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০
  • ৭০০ বার দেখা হয়েছে

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আউশ ও আমন ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। ইতোমধ্যে আউশের জন্য বীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আমন ও রবি মৌসুমে বীজ, সার, সেচ প্রভৃতিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সংকট তৈরি না হয় সেজন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা চলছে।

সোমবার (১ জুন) সকালে তার সরকারি বাসভবন থেকে আমন ও রবি শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সংস্থাপ্রধানদের সঙ্গে অনলাইন (জুম প্ল্যাটফর্মে) সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে হলে উৎপাদন আরও অনেক বাড়াতে হবে। দেশে খাদ্য উৎপাদনে যে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে এবং উৎপাদনের যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি চলমান রয়েছে সেখানে থেমে গেলে হবে না। সেজন্য তা আরও বেগবান ও ত্বরান্বিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মহামারি করোনার করাল গ্রাসে আজ পুরো পৃথিবী বিপর্যস্ত। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে কোনো কোনো দেশে খাদ্য সংকট বা দুর্ভিক্ষও হতে পারে। এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে ও অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্সে বার বার কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছেন। কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা অনুযায়ী করোনায় সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির বর্তমান ধারা শুধু অব্যাহত রাখা নয়, তা আরও বেগবান ও ত্বরান্বিত করতে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে; যাতে করে দেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি না হয়, দুর্ভিক্ষ না হয়। বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের সম্ভাব্য খাদ্য সংকটে আর্তমানবতার সেবায় বাংলাদেশ যাতে তার উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য নিয়ে সহযোগিতা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমন আবাদের এরিয়া বাড়ানোর সুযোগ খুব একটা নেই। তবে উন্নতমানের জাত ও মানসম্পন্ন পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ এবং গবেষণা পর্যায়ে বিভিন্ন জাতের ঘোষিত হেক্টর প্রতি ফলন ও কৃষকের মাঠে উৎপাদিত হেক্টর প্রতি ফলনের পার্থক্য কমিয়ে এনে উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। পাশাপাশি, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যেখানে বছরে একটি মাত্র ফসল হয় সেখানে কীভাবে সারা বছর বিভিন্ন ফসল ফলানো যায়, এসব বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

সভাটি সঞ্চালনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। সভায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপু, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি গবষেণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. শাহ আলম, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. এম. সাহাব উদ্দিনসহ অন্যান্য সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury