ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকায় টেলিকম নেটওয়ার্কের অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহীর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ মোবাইল সাইট (টাওয়ার) ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে টেলিকম সেবাকে ব্যাহত করে। বিদ্যুৎ না থাকার পরও সংশ্লিষ্ট এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারগুলো সচল রাখার চেষ্টা করছে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
মোবাইল অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ জানান, ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে অপারেটররা ব্যাটারির সাহায্যে মোবাইল টাওয়ারগুলো চালু রাখে। তবে ব্যাটারির ক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে, অপারেটররা সেবা চালিয়ে যাওয়ার জন্য জেনারেটরের সাহায্য নেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২১ মে) বেলা ১১টা পর্যন্ত টাওয়ারের প্রায় ৩০ শতাংশ (১৩ হাজার) সাইট জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছিল না। বর্তমানে দেশে প্রায় ৩৫ হাজার মোবাইল টাওয়ার রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত টাওয়ারগুলোর বেশিরভাগ পল্লি অঞ্চলে অবস্থিত, তাই প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে সেবা পুনরুদ্ধারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিশেষ সহায়তার প্রয়োজন। এছাড়া, করোনার কারণে সারাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল সেবাদানকারী ও তাদের অংশীদার সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। টেলিকম অবকাঠামো পুনরুদ্ধার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহযোগিতা জরুরি বলে মনে করে অ্যামটব।