1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ অপরাহ্ন

পাটজাত বহুমুখী পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে সরকার

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০
  • ৬৫৮ বার দেখা হয়েছে

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, নির্মল ও দূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বহুমুখী পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে। এজন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাট চাষিদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং পাট শিল্পের সম্প্রসারণে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে ব্যবহারে তৎপর থাকবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

রোববার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও শেষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত দফতরের কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও অতিরিক্ত সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদফতরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২৩ সালের মার্চ মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে । প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাট চাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া করা এবং সার্বিকভাবে মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ মেট্রিক টন পাট বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ও বস্ত্রশিল্প খাতকে আরও শক্তিশালী, নিরাপদ ও প্রতিযোগিতায় সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। বস্ত্রখাতের ‘পোষক কর্তৃপক্ষ’ হিসেবে বস্ত্র অধিদফতর তথা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

সভায় জানানো হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে তাঁতিদের সম্ভাব্য ক্ষতির মূল্যায়ন এবং এই ক্ষতি উত্তরণে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। তাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ এবং তাঁতের আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় তাদের শতকরা ৫ ভাগে সুদে ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে ৩০০ ক্ষতিগ্রস্ত তাঁতিদেরকে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক তাঁতিদের ত্রাণ/আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি), বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এবং খাদ্য অধিদফতরের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক করোনা মোকাবিলায় জরুরি কৃষিসেবা (বিএডিসি এবং খাদ্য অধিদফতর সরকার ঘোষিত জরুরি কৃষিসেবার আওতাধীন) নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাটের বস্তা সরবরাহ নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিলের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রেখেছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury