স্টাফ রিপোর্টার:
আগের রাতে চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা জিতেছিল ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে। পয়েন্ট টেবিলে ব্যবধানটাও বাড়িয়ে নিয়েছিল পাঁচ পয়েন্টে। ফলে অদৃশ্য একটা চাপ তৈরি হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের ওপর। সে চাপ সহজেই জয় করেছে স্পেনের সফলতম ক্লাবটি।
রোববার রাতে এইবারের বিপক্ষে রিয়ালের জয়ের ব্যবধান ৩-১। মজার বিষয় হলো, রিয়াল নিজেদের তিন গোলই করেছে প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে যেন চেনাই যায়নি সার্জিও রামোস, লুকা মদ্রিচ, এডেন হ্যাজার্ডদের। তবে ভাগ্য ভালো এইবার তিন গোলের বদলা দিতে পারেনি।
সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়াম। ফলে করোনাকালে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি ক্লাবের একাডেমি মাঠ আলফ্রেড ডি স্টেফানোতে খেলেছে রিয়াল। দর্শকশূন্য গ্যালারির সামনে খেলতে নেমে মানিয়ে নিতে কোন সমস্যাই হয়নি জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের।
উল্টো প্রথমার্ধে যতোটা ভালো খেলেছে রিয়াল, দ্বিতীয়ার্ধে যেন ঠিক ততটাই রংহীন। উজ্জীবিত ফুটবলে ঘুরে দাঁড়ায় এইবার। পরিসংখ্যান বলছে, পুরো ম্যাচে মাত্র পাঁচবার এইবারের জালে শট নিয়েছে রিয়াল। অন্যদিকে এইবার আক্রমণ করেছেন নয়বার, এর মধ্যে ছয়টিই ছিল লক্ষ্য বরাবর।
দ্বিতীয়ার্ধে ভাগ্য ভালোই বলতে হবে রিয়ালের। নয়তো এইবারের একের পর এক আক্রমণের সামনে হয়তো হজম করতে হতো আরও গোটা দুয়েক গোল। তা হয়নি, ৬০ মিনিটের সময় স্রেফ এক গোলই করতে সক্ষম হন এইবারের পেদ্রো বিগাস। ফলে তাদের পরাজয়ের ব্যবধান ১-৩।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ নিয়ে যত কথাই বলা হোক না কেন, প্রথমার্ধের ব্যাপারে বলার কোন জায়গায় রাখেননি রামোস, মার্সেলোরা। ম্যাচের শুরু থেকেই সাদা জার্সিতে দেখা মেলে চিরচেনা রিয়ালের। আক্রমণাত্মক ফুটবলে মাত্র ৩৭ মিনিটেই তিন গোল করে ফেলে তারা।
গোলের শুরুটা করেন জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। মাত্র চতুর্থ মিনিটেই দারুণ এক শটে প্রথম গোল করেন ক্রুস। এরপর ৩০ মিনিটে রামোস এবং ৩৭ মিনিটের সময় স্কোরশিটে নাম তোলেন আরেক ডিফেন্ডার মার্সেলো ভিয়েরা।
ঘরের মাঠের এই জয়ের পর ২৮ ম্যাচ শেষে রিয়ালের সংগ্রহ ৫৯ পয়েন্ট, টেবিলে অবস্থান দ্বিতীয়। সমান ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বার্সেলোনা।