স্টাফ রিপোর্টার:
করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছুই বন্ধ। গত তিন মাসের মধ্যেই মোট ৫টি সিরিজ স্থগিত হয়েছে বাংলাদেশের। সর্বশেষ স্থগিত হলো শ্রীলঙ্কা সিরিজ। এই ৫ সিরিজে বাংলাদেশ মোট ৮টি টেস্ট খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলো। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক মনে করেন, কঠিন এই সময়টাতে সবচেয়ে প্রয়োজন, মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, মানসিকভাবে শক্ত থাকাটাই ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর’ এখন। তিনি বলেন, ‘একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে, এটা আমাদের রক্তের মধ্যেই রয়েছে যে সব সময় ব্যাট এবং বলের সাথে থাকা। সুতরাং (সেটা না থাকার কারণে) যখন আপনাকে টানা দুই থেকে তিনমাস ঘরের মধ্যে বন্দী থাকতে হচ্ছে, তখন এই কঠিন সময়টাতে আমাদেরকে মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা প্রয়োজন। আমরা হয়তো ৫ দিন কিংবা ৬দিন ফিটনেস ট্রেনিং করে ফিট থাকার চেষ্টা করতে পারবো। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা।
মুমিনুল জানিয়ে দিলেন, ক্রিকেটকে তিনি খুব মিস করছেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি ক্রিকেটকে মিস করছি। অবশ্যই এটা আমার কাছে এ সময় সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগার বিষয়।
বছরের শুরুতেই বন্দী হতে হলো ঘরের মধ্যে। মুমিনুল বলেন, ‘অন্য সব খেলোয়াড়ের মতই বছরের শুরুতে আমিও একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছিলাম, কিভাবে এই বছরটি কাটাবো। কিন্তু আমরা একটি বড় ধাক্কা খেলাম বছরের শুরুতেই। তবে, আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, এটা মোটেও আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। সুতরাং, এ নিয়ে আমাদের কারও করার কিছুই নেই।
বাংলাদেশের বেশ কিছু সিরিজ স্থগিত হওয়া নিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো টেস্ট স্থগিত হয়ে গেছে এরই মধ্যে। তবে আশার আলো হচ্ছে, যে টেস্টগুলো স্থগিত হয়েছে এগুলো হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের। সুতরাং, আমরা এই টেস্টগুলো আবার খেলার সুযোগ পাবো। আমাদেরকে ছোট ছোট কিছু ধাপে উন্নতি করতে হবে। আমরা যখন কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনে এগুনোর চেষ্টা করবো, তখন আমাদের পেস বোলিং অ্যাটাকের উন্নতি দরকার। খেলোয়াড়দের উচিৎ হবে, নিজেদের সঠিকভাবে রেখে তৈরি থাকা। আমাদের সবারই মনে রাখা প্রয়োজন যে, যখনই আমরা মাঠে ফিরবো, তখন আমাদের কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে।
সতীর্থদের সঙ্গে, বিশেষ করে জুনিয়রদের সঙ্গে নিয়মিতই কথা বলেন টেস্ট অধিনায়ক। এই লকডাউনের মধ্যে তারা নিজেদের কিভাবে ফিট রাখছে সে খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রায়ই কথা বলি। বিশেষ করে জুনিয়রদের সঙ্গে। আমি চেক করি, এই লকডাউনের সময়টা তারা কিভাবে পার করছে- এসব। সিনিয়রদের সঙ্গেও কথা বলি। তামিম এবং মুশফিক ভাইয়ের বাড়িতে জিম করার সরঞ্জাম আছে। সবাই জানে, তারা কতটা কঠোর পরিশ্রম করে। অধিনায়কত্ব অনেক বড় দায়িত্বপূর্ণ একটি জায়গা এবং নিজের দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ তৈরি করে। খুব কমই এই সুযোগটা পায় এবং আমি সেই সৌভাগ্যবানদের মধ্যে একজন।