স্টাফ রিপোর্টার:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির জন্ম হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে। এই দলটিই ক্রসফায়ার-গুম-খুন শুরু করেছিল।’ বিএনপিনেতা রুহুল কবির রিজভীর ‘ক্রসফায়ার-গুম-খুনে রাষ্ট্র অমানবিক হয়ে উঠছে’-বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী। শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে প্রতি বছর ৩১৭ জনের বেশি ক্রসফায়ারে, গুম হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। একই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ সংখ্যা ১৮৭। এটা ঠিক যে, অপরাধীরা অনেক সময় বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। আমাদের দল কোনও ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সমর্থন করে না।
অপরদিকে খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপি’র উত্থান উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যুক্ত। আর বিএনপি যখন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন, তখনই ক্রসফায়ার চালু করে। অর্থাৎ খুনের রাজনীতির মাধ্যমেই যাদের উন্মেষ ও প্রতিষ্ঠা, যারা দেশে গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল, তারা যখন এধরণের কথা বলে, তখন তা হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়।
মন্ত্রী বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে যে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে এবং করোনা মহামারিতে দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যেভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তা সারাবিশ্বের সামনে মানবিকতার পরম উদাহরণ। বিএনপি এ ধরনের কোনও উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির পর সংসদে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়া চরম দায়িত্বহীনভাবে বলেছিলেন, ‘যত মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিল, তত মারা যায়নি।”
এসময় আক্ষেপ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ আশা করেছিল, করোনার এসময়ে বিএনপি বাদানুবাদের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার আর বিষোদগারের রাজনীতি ত্যাগ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তারা মানুষের পাশেও দাঁড়ায়নি। করোনা মহামারির মধ্যে লোকদেখানো ত্রাণ বিতরণের ফটোসেশনের মধ্যেই তাদের কার্যক্রম সীমিত রেখেছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যর জবাব দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি করোনায় আক্রান্ত সকলের দ্রুত সুস্থতা ও মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার শান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি বলেন, ‘বিশ্লেষকরা যা বলছেন, দেশে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার ১.২৮ শতাংশ। আর মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, তাদের ২৮৪ জন আক্রান্ত ও ৭৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। অর্থাৎ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মৃত্যুহার ২১ শতাংশ – এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন।