স্টাফ রিপোর্টার:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ দমনের পাশাপাশি বৈশ্বিক মহামারিতে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১২ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এনিয়ে রোববার (২৮ জুন) পর্যন্ত পুলিশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১০ হাজার। পুলিশে ১০ হাজার ১৬০ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন, যা একক পেশা হিসেবে সর্বোচ্চ। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
পুলিশ বলছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে শুরু থেকেই ডাক্তার-নার্সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ পুলিশ। যে কারণে দ্রুতই সংক্রমিত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। তবে আক্রান্তদের মধ্যে পুলিশের ৬ হাজার ৪৫ সদস্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
পুলিশ সদর দফতর ও বিভিন্ন ইউনিটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট আক্রান্ত ১০ হাজার ১৬০ জন, যা গতকাল শনিবার ছিল ৯ হাজার ৯৪৮ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আজ রোববার পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশে কর্মরতদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৪৮ জন সদস্য। আর গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির আরও ১০৩ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।
পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়, আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসায় ১০ হাজার ৩০০ সদস্যকে কোয়ারেন্টাইনে এবং ৪ হাজার ২২৪ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
সুস্থ হওয়া পুলিশ সদস্যদের অনেকেই জনগণের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে আবারও কাজে যোগ দিয়েছেন। পুলিশের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হাসপাতালগুলোর উন্নত ও মানসম্মত ‘চিকিৎসা ও সেবায়’ সুস্থতার হার দ্রুত বাড়ছে।
পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের ৪১ জন সদস্য চলমান করোনাযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে জীবন উৎসর্গ করেছেন। সহকর্মী হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশসেবার দৃপ্ত শপথ বুকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
তিনি বলেন, আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ড. বেনজীর আহমেদ বিরামহীনভাবে করোনা প্রতিরোধে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী দিকনির্দেশনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুস্থ করতে শশব্যস্ত পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
পুলিশ সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সেবা ও শুশ্রূষা নিশ্চিত করতে বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করাসহ সকল পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। এ কারণে একদিকে পুলিশে আক্রান্তের হার যেমন ক্রমান্বয়ে কমছে, তেমনি দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে সুস্থতার হার।