করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। মাস্ক ব্যবহারে শতভাগ পর্যন্ত এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা যায় এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞদের। আগে ধুলাবালি থেকে সুরক্ষায় অনেকে মাস্ক ব্যবহার করতেন।
তবে এখনকার মতো এতো বেশি স্তরযুক্ত মাস্ক ব্যবহার করা হত না। দীর্ঘ সময় মাস্ক ব্যবহার করলে অনেকের নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। দেখা দেয় নানা অস্বস্তি।
দীর্ঘ সময় মাস্ক পরে থাকা সত্যিই খানিকটা অস্বস্তিকর। অনেকক্ষণ ধরে মাস্ক ব্যবহার করলে কিংবা একাধিক মাস্ক একসঙ্গে একটির ওপর আরেকটি রেখে ব্যবহার করলে হাইপোক্সিয়া বা অক্সিজেনের ঘাটতি হতে পারে। শরীরে অক্সিজেন কমে গেলে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক ক্রিয়া ব্যাহত হয়। শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে হৃদ্স্পন্দনের গতিও বেড়ে যায়। ফলে বুকে ব্যথা ও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এছাড়া মাস্কে জমে থাকা কার্বন ডাই-অক্সাইড শরীরে প্রবেশ করে এই গ্যাসের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করতে পারে। সেই সঙ্গে হতে পারে মাথাব্যথা, অবসাদগ্রস্ততা।
মাস্ক পরা অবস্থায় অনেকক্ষণ গাড়ি চালালে অক্সিজেনের অভাবে চালক সাময়িক চেতনা হারিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। আবার দীর্ঘ সময় মাস্ক ব্যবহার করলে তা সংক্রমণের উৎস হয়ে উঠতে পারে।
মাস্ক আর্দ্র হয়ে গেলে সেখানে জীবাণুর জন্ম হয়। যা শ্বাস নেয়ার সময় ভেতরে চলে যায়। এক্ষেত্রে কিছু কৌশল মেনে চলতে পারেন। এতে মাস্ক পরার পর যে অস্বস্তি হয় তা এড়াতে পারবেন। জেনে নিন উপায়গুলো-
> একই মাস্ক বারবার ব্যবহার করা উচিত নয়। কোনো উপায় না থাকলে প্রতিবার ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন।
> দীর্ঘ সময় মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ মিনিট পর খুলে সতেজ বাতাসে শ্বাস নিন। তবে কাছাকাছি কেউ থাকলে এটি করা যাবে না।
> এমন একটি খালি জায়গায় মাস্ক খুলবেন, যেখানে আশপাশে ছয় ফুটের মধ্যে কেউ নেই। বুক ভরে কিছুক্ষণ শ্বাস নিয়ে আবার মাস্ক পরে নিন। মাস্ক খোলা ও পরার আগে সাবান-পানি দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে নিন।
> মাস্ক পরে কোনো শারীরিক পরিশ্রম যেমন সিঁড়ি ভাঙা, দৌড়ানো বা ব্যায়াম করা উচিত নয়।