স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘নির্বাচন পেছানোর আইনগত কোনো সুযোগ নির্বাচন কমিশনের কাছে নেই। তবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে নিতে পারেন। তিনিও বলেছেন নির্বাচন না করার কোনো সুযোগ নেই।’
শনিবার (১১ জুলাই) দুপুরে যশোর-৬ কেশবপুর আসনের উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ও প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
কেশবপুর আবু শারাফ সাদেক অডিটোরিয়ামে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা দলকে সুবিধা দিতে নয়, সাংবিধানিক কারণেই করোনার মধ্যে উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করোনা আছে, আরো অনেকদিন থাকবে। তার জন্য সবকিছু বন্ধ রাখা যাবে না। দৈনন্দিন কাজ ও নির্বাচনের মত কাজ এর মধ্যেই করতে হবে।’
এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। একইসাথে ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের মাস্ক খুলে পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, নির্বাচনের কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, জেলা নির্বাচন অফিসার হুমায়ন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।