জেলা প্রতিনিধি,মানিকগঞ্জঃ
স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মেয়েটিকে বুকে আকড়ে ধরেই বেঁচে আছেন পোশাক শ্রমিক মোছাঃ ফাতেমা।কিন্তু একমাত্র সন্তান বাসা থেকে হঠাৎ নিখোঁজ ১৯ দিন ধরে। থানায় সাধারণ ডায়েরিকরাসহ আত্বীয়-সজন ও পরিচিতজনদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও খোঁজে মেলেনি তার। মেয়েকে না পেয়ে এখন পাগল প্রায় মা মোছাঃ ফাতেমা।
মেয়ের খোঁজে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ফোর্ডনগর এলাকায় এক আত্বীয়ের বাড়ি এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফাতেমা। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান,মেয়ে ছাড়া তার পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই।
মেয়েটিই তার সব। তাকে ছাড়া নাওয়া খাওয়া ঘুমানো সব বন্ধ হয়ে গেছে তার। মোছাঃ ফাতেমা ঢাকার সাভার উপজেলার হেমায়েতপুর এলাকায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। সাভারের ভাগলপুর বালুর ঘাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর সদর উপজেলার ছাললমছি গ্রামে। ফাতেমা জানান, মেয়ের যখন এক বছর তখন ফাতেমার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে যান।
এরপর থেকে অনেক দুঃখ কস্টে মেয়েকে নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। মা-মেয়ের খাবার জুটাতে কাজ নেন পেশাক কারখানায়। বেশ ভালোই চলছিলো তাদের। কিন্তু গত ২১ জুন বিকালে ভাগলপুর বাসা থেকে মেয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান মিলেনি। নিখোঁজ লুৎফা আক্তারের মুখমন্ডল গোলাকার।শ্যা মবর্নের মেয়েটির মাথায় চুল কালো এবং ছোট। তার পড়নো ছিলো লাল রংয়ের হাফপ্যান্ট।শিশুটির পেটে কাটা দাগ রয়েছে।
নিখোঁজের বিষয়ে গত ২৪ জুন সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন মা মোছাঃ ফাতেমা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)এফ এম সায়েদ জানান, নিখোঁজ শিশুটির এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার ছবি ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শিশুটির সন্ধ্যানে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তারা।