স্টাফ রিপোর্টার:
নিখোঁজের একদিন পর জালে ভেসে উঠল শহিদুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ। নিহত শহিদুল মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মৃত বছর উদ্দিন ফকিরের পুত্র। শুক্রবার (২৪ জুলাই) নিহতের বাড়ির দক্ষিণে মাধবপুর-মানিকনগর চক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে শহিদুল ইসলাম নৌকা নিয়ে ওই চকের মোল্লা ব্রিক্সের পাশে জাগ দেয়া পাট আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। দুপুর পেরিয়ে গেলেও সে বাড়িতে না আসায় পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় তাকে খোঁজতে থাকেন।
পরদিন ওই চকে জেলেদের ভেড় জাল দিয়ে খোঁজলে সকাল ১০ টার দিকে লাশ ভেঁসে উঠে। সাইফুল অভিযোগ করে বলেন, গত ২২ জুন তার চাচার ক্ষেতের ওপর দিয়ে ঘোড়ার গাড়ি নেয়াকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী ওয়াইজনগর চকবাড়ি গ্রামের ওমরের পুত্র রফিকুলের (৩২) সাথে ঝগড়া হয়।
এতে রফিকুলের বাবা ওমর, ভাই মহিবুর, চাচাত ভাই আমির হোসেন আমজাদ ও চাচা তৈয়ব আলী শহিদুলকে বেধড়ক মারধর করে। এ নিয়ে তার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদলের মধ্যস্থতায় গত ১৯ জুলাই সালিশ বৈঠকে চিকিৎসা খরচ বাবদ অভিযুক্তদেরর ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সাইফুল আরো বলেন, পূর্বের ওই মারামারির জের ধরে রফিকুল গং তার চাচাকে চকে একা পেয়ে হত্যা করে পানিতে ফেলে দিয়েছে। নিখোঁজ শহিদুলকে খোঁজতে গিয়ে সাইফুলের বড় বোন নাজমা আক্তার তার পাট আনার কাজে ব্যবহৃত নৌকার কাছে অভিযুক্ত রফিকুল গংদের দেখতে পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারে বইছে শোকের মাতম।
এদিকে, শহিদুল নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে রফিকুলসহ বাকি অভিযুক্তরা বাড়ির গরু-বাছুর ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে সটকে পরেছে। এ ব্যাপারে বাঘুলি শান্তিপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, । নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছেনা।