স্টাফ রিপোর্টার:
সদ্য বরখাস্তকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সাল আলম সিহাব (২৪)। শিক্ষানবিশ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পারিল শাখায়। সেখান থেকে প্রতরণার মাধ্যমে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। পরে প্রতরণাকৃত ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকাসহ সিহাবকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ক্রিমিনাল ইনভেষ্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) মানিকগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী সাংবাদিকদেরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এসময় তিনি বলেন, অপেশাদারী কার্যকলাপের জন্য ৫ জুলাই দায়িত্ব থেকে ফয়সালকে বরখাস্ত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি গোপন রেখে এর দুই দিন পরে ব্যাংকের অন্য কর্মকর্তার আইডি ও পাস ওয়ার্ড ব্যবহার করে এবি ব্যাংকের উত্তরা শাখার একটি ভূয়া একাউন্টে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা জমা করেন তিনি।
এক সহযোগীর মাধ্যমে সেখান থেকে ৫০ লাখ টাকা উত্তোলন এবং ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা আরটিজিএস এর মাধ্যমে গাড়ি বিক্রেতার একাউন্টে দিয়ে দুইটি নতুন গাড়ি ক্রয় করে ফয়সাল। প্রতরণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে ১০ জুলাই সিংগাইর থানায় ফয়সালসহ চারজনকে আসামী করে অভিযোগ করেন এবি ব্যাংকের পারিল শাখার ব্যবস্থাপক আরিফ আহমেদ। মামলাটির তদন্ত দায়িত্ব পেয়ে সিআইডি কর্মকর্তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত নতুন গাড়ি দুইটি ঢাকার ঝিগাতলা থেকে ১৮ জুলাই উদ্ধার করেন। আ
র এই কাজে সহায়তার জন্য একই দিনে গ্রেফতার করা হয় মুত্তাকিন আহমেদ সিয়াম নামে ফয়সালের এক বন্ধুকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ জুলাই অর্থ্যাৎ গতকাল রাতে সিংগাইরের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রধান আসামী ফয়সালকে। এসময় তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
বাকী টাকাগুলো উদ্ধার এবং এই প্রতারণার সাথে জড়িত সকল ব্যক্তিকে গ্রেফতারে অভিযান চলামান রয়েছে। আর ফয়সালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী।