করোনায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩,৩৩৩ জনে। একই সময়ে রোগী শনাক্ত হয়েছে ২,৮৫১ জন। নতুন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২,৫২, ৫০২।
শুক্রবার করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৬০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৮ জন। দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৪৫ শতাংশ; শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৫৭.৬৬ শতাংশ।
তিনি বলেন, সারাদেশে সরকারি ও বেসকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৪ টি ল্যাব চালু আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ২৫৩ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৯ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৮২৩ টি।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৭ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে তিনজন করে ছয়জন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, রংপুর বিভাগে দুইজন, বরিশাল বিভাগে একজন রয়েছেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন, বাড়িতে একজন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮১৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮৩৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৫৫ হাজার ১৭৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৫২৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৬৫১ জন।
বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে করোনা গত ছয় মাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে । চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
করোনায় মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।