1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০০ অপরাহ্ন

হরিরামপুরে বৃষ্টি ও বন্যায় পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০
  • ৫১৫ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

ভারী বর্ষন ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার  চার হেক্টর জমির পান বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ২৫ জন কৃষকের ৩৪টি বরজে পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে অন্তত কয়েক লক্ষাধিক টাকার পান। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। এরমধ্যে কারো  উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম পানবরজ বন্যায় তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক।

হরিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায়, উপজেলার গোপীনাথপুর, রামকৃষ্ণপুর ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ৫ দশমিক ২৫ হেক্টর জমিতে ৩৫ জন কৃষকের মোট ৪২টি পান বরজ রয়েছে। যার মধ্যে গোপীনাথপুর ইউনিয়নে ১হেক্টর জমিতে ৮টি বরজ করেছেন ৮ জন কৃষক। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৪হেক্টর জমিতে ৩৪টি বরজ করেছেন ২৫জন কৃষক এবং কানঞ্চনপুর ইউনিয়নের ০.২৫ হেক্টর জমিতে ২টি বরজ করেছেন ২জন কৃষক। যার মধ্যে শুধুমাত্র রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নেই ২৫জন কৃষকের ৩৪টি বরজ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যার মধ্যে বেশ কয়েক টির অবকাঠামো সহ পানিতে ধ্বসে পড়ছে এবং বাকি গুলোর অবকাঠামো অক্ষত থাকলেও সমস্ত পান গাছ পঁচে গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বকচর গ্রামের হোসেন আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সে ২৫শতাংশ যায়গায় গয়াসী(মিষ্টি)পান চাষ করেছিলো। এবারের ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় তার পুরো বরজ কাঠামোসহ ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে তার ৫লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। যা ভালো করে ঠিক করতে তার প্রায় ২লক্ষ টাকা খরচ হবে। তাই তিনি সরকারের কাছে অল্প সুধে সহজ শর্তের ঋণের দাবী জানান।

এছাড়া রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আরেক পান চাষি সুজন খান জানান, তার বড় ভাই আব্দুল মালেক খান এলাকার বড় পান চাষিদের মধ্যে একজন। তার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তিনটি পান বরজ রয়েছে এবং তার দেখাদেখি সেও এইবার পান চাষ করেছিলো। কিন্তু এই বন্যায় তার বড়ভাইয়ের সবগুলো পান বরজ নষ্ট হয়ে প্রায় ৮/১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া তার নিজের ও প্রায় ২লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতিনিধি এসে তাদের নাম ঠিকানা নিয়ে গেলেও   এখনো কোন সুযোগ সুবিধা পায়নি বলেও জানান তিনি। এছাড়া তিনিও সরকারের কাছে সহজ শর্তে ঋণের দাবী জানান।

এবিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গফফার জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে। দ্রুতই ক্ষতিগ্রস্তদের সবজি বীজ দেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury