করোনা মহামারির এ সময়ে মুখে মাস্ক পরা এখন প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে সবার। কিন্তু মুখের স্বাস্থ্যে মাস্কের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন দন্তচিকিৎসকরা।
টেলিডেন্টিস্ট্রি কোম্পানি স্মাইল ডিরেক্ট ক্লাবের চিফ ক্লিনিক্যাল অফিসার ডা. জেফ্রি সুলিৎজার বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে মুখ এবং নাক ঢেকে রাখায় তা শ্বাস-প্রশ্বাসে প্রভাব ফেলে এবং মুখ দিয়ে বেশি শ্বাস নিতে বাধ্য করে।’
তার মতে, ‘এর ফলস্বরূপ, মুখের আদ্রতা কমে যায় এবং মুখ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। মুখ গহ্বরের শুষ্কতায় অর্থাৎ মুখের ভেতরের অংশ শুকিয়ে যাওয়ায় মাড়ির রোগ এবং মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়।’
তবে মাস্ক পরে থাকা অবস্থায় মুখ গহ্বরের শুষ্কতা প্রতিরোধের কিছু উপায় রয়েছে। ডা. সুলিৎজার তার পরামর্শে বলেন, ‘আপনাকে যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য মাস্ক পরে থাকতে হয়, তাহলে মুখের স্বাস্থ্যবিধি আরো বেশি করে মেনে চলা উচিত। যেমন পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং মুখের লালা প্রবাহ উন্নত করতে চুইংগাম বা চিনিমুক্ত লজেন্স খেতে পারেন।’
মাস্ক পরে থাকার কারণে ব্রণ, র্যাশ এবং চুলকানিসহ ত্বকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। হার্টফোর্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার ফর ডার্মাটোলজি’র ডা. গিরিশ মোহন বলেন, ‘নিজেকে এবং অন্যদেরকে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করার দুর্দান্ত উপায় মাস্ক। কিন্তু এটি আপনার নিজের নাক বা মুখ থেকে নির্গত হওয়া বায়ুপ্রবাহকে আপনার দিকেই ফিরিয়ে দেয়। প্রতিবার যখন আমরা শ্বাস নিই এবং শ্বাস ছাড়ি তখন আর্দ্রতা জমে এবং মাস্কের কারণে তা ত্বকে আটকা পড়ে।’
ত্বকের সুরক্ষার জন্য ডা. গিরিশ মোহন তার পরামর্শে বলেন, ‘সুগন্ধমুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পর সুগন্ধমুক্ত এবং হালকা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলা উচিত। এছাড়া মুখের ঢাকা অংশে মেকআপ ব্যবহার এড়ানো উচিত।’