স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্যাস লাইনের পাইপে আরও লিকেজ খুঁজতে দ্বিতীয় দিনের মতো মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকরা মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। নতুন করে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের উত্তর দিকে ও পূর্ব দিকে আরও দুটি গর্ত খনন করে মাটি সরানোর কাজ করছেন শ্রমিকরা।
এর আগে সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিতাসের অর্ধশতাধিক শ্রমিক চারটি পয়েন্টে আরসিসি রাস্তা কেটে মাটি খনন কাজ শুরু করেন। এ সময় তারা মসজিদের বেসমেন্টের পাশে একটি গ্যাস লাইনের পাইপে দুটি ছিদ্র দেখতে পান।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৮টার দিকে মসজিদের সামনের সড়কে তিতাসের শ্রমিকেরা শাবল, কোদাল, টুকরিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেছেন। মসজিদের পূর্ব ও উত্তর দিকে আরও দুটি পয়েন্টে তিতাসের পাইপ বের করার চেষ্টা করছেন তারা।
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওহাব তালুকদার জানান, সোমবার মাটি খুঁড়ে মসজিদের উত্তর পাশে দুটি লিকেজ পাওয়া গেছে। আরও কোনো লিকেজ আছে কি-না সেটি খতিয়ে দেখতে দ্বিতীয় দিনের মতো খোঁড়াখুঁড়ি চলছে।
এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে চতুর্থ দিনের মতো পশ্চিম তল্লা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাদের লাকড়ি দিয়ে মাটির চুলায়, কেরোসিনের স্টোভে ও গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্নার কাজ করতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় আহত ৪২ জনের মধ্যে ৩৭ জনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।