আমাদের প্রতিদিনের কাজ অনেকটাই সহজ করে দেয় মাইক্রোওয়েভ ওভেন। নানা রকম খাবার তৈরির পাশাপাশি এটি খাবার গরম করার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। যতটুকু খাবার গরম করা দরকার ততটুকু নিয়ে গরম করলেই কাজ শেষ। সহজ ব্যবহারের জন্যই মাইক্রোওয়েভ ওভেন জনপ্রিয়।
মাইক্রোওয়েভ ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জের মাধ্যমে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন ছড়িয়ে খাবার গরম করা বা রান্না করার কাজ করে এই মেশিন। তবে পেশাদার কুকদের মতে, মাইক্রোওয়েভে রান্নায় তার আসল ফ্লেভার পাওয়া যায় না। তবে স্বাদ ছাড়াও মাইক্রোওয়েভের আরও দিকটি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত, তা হলো স্বাস্থ্যগত দিক। নিয়মিতভাবে মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবার খেলে স্বাস্থ্যের কি ক্ষতি হয়? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? সেকথাই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান টাইমস।
মাইক্রোওয়েভে বেশি সময় ধরে খাবার গরম করলে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে, নষ্ট হয়ে যেতে পারে খাবারের ভিটামিন বি১২।
মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করার ক্ষেত্রে অনেকেই প্লাস্টিকের বাটি ব্যবহার করে থাকেন। মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ভেতরে প্লাস্টিকের পাত্র দেয়া উচিত নয়। প্লাস্টিকের মধ্যে থাকে প্যাথালেটস নামে এক ধরনের রাসায়নিক। মাইক্রোওয়েভের গরমে এটি খাবারের সঙ্গে মিশে যায়। এই রাসায়নিক শরীরে প্রবেশ করলে হরমোনের সমস্যা, ইনসুলিন রেসিসট্যান্স, বন্ধ্যাত্ব, অ্যাজমার মতো নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করলে কাঁচ বা সিরামিকের বাটি ব্যবহার করুন।
মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করার সময় সব জায়গায় সমানভাবে তাপ পৌঁছায় না। তাই তাপের কারণে যেসব ব্যাকটেরিয়া মরে যায়, সেগুলো খাবারের সব জায়গা থেকে পুরোপুরি নির্মূল হয় না। এসব ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবারে রেডিয়েশন থাকতে পারে বলে অনেকে যে মনে করেন, সেটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা। মাইক্রোওয়েভের রেডিয়েশন সুইচ অফ করার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায়। তাই মাইক্রোওয়েভে গরম করা খাবার আপনি খেতেই পারেন। শুধু সঠিক পাত্র বেছে নিন।