স্টাফ রিপোর্টার:
করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন মাঠ-পর্যায়ের কর্মসূচি স্থগিত ছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। এবার পরিস্থিতি-সময় বিবেচনায় সাংগঠনিক ভিত শক্তিশালী করার দিকে নজর দিচ্ছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে দ্রুত বিভাগীয় কমিটি গঠন হচ্ছে। কমিটিগুলো তৃণমূলের বিভিন্ন ইউনিটের সম্মেলন প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয় নজরদারি করবে। দেবে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও। দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপকালে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
দলীয় সূত্র বলছে, বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘদিন সম্মেলন হয়নি। এই কারণে গতিহীন হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর তৃণমূলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড। এসব অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও তুঙ্গে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দলের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ার আগে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩২ জেলার সম্মেলন শেষ করতে পেরেছে দলটি। ওইসব জেলায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি স্থানীয় নেতারা।
পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যন্ত সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছে দলটি হাইকমান্ড। একইসঙ্গে জেলা সম্মেলনের আগেই ওইসব ইউনিটের সম্মেলন করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘তৃণমূল পর্যন্ত দলকে পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে যে সব জেলা ও মহানগর সম্মেলন হয়নি, সেখানে কমিটি গঠন হবে। তবে, তার আগে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলনের কাজ শেষ করতে হবে।’
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের দুই জন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিগগিরই বিভাগভিত্তিক কমিটি গঠন হবে। দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা এসব কমিটি গঠনে দায়িত্বে থাকবেন। থাকবেন বিভিন্ন বিভাগীয় কমিটিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরাও।
এসব কমিটি তৃণমূলের বিভিন্ন জেলা সফর থেকে শুরু করে বিদ্যমান কোন্দল নিরসন থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একইসঙ্গে যেসব জেলা-মহানগরে সম্মেলন হয়নি, সেগুলো দ্রুত সম্মেলনের ব্যবস্থা করবে।
দলীয় সূত্র বলছে, আগামী ৩ অক্টোবর দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগ। প্রতি দুই মাস পরপর এই বৈঠক হওয়ার রেওয়াজ থাকলেও এবার করোনার কারণে দীর্ঘদিন পর এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। বৈঠকে বিভাগভিত্তিক কমিটি গঠনসহ তৃণূমূলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘শিগগিরই বিভাগভিত্তিক কমিটি করা হবে।’এই কমিটি তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।