আগে ৪০ বছরের পর গিয়ে ডায়াবেটিসের চিন্তা করা হতো। কিন্তু বর্তমানে ছোট শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতের ডায়াবেটিস গবেষণা কেন্দ্রের (আইডিআরএফ) পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার হার এশিয়া ও আমেরিকায় বেশি দেখা যাচ্ছে।
শিশুদের মধ্যে ডায়াবেটিসের কারণ
• গর্ভবতী মায়েদের অনিয়ম এবং অপুষ্টিজনিত কারণে
• জন্ম নেওয়া কম ওজনের শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে
• আবার ধনী পরিবারের শিশুদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি
• কারণ তাদের খাবারে মাংস-চিজ-মিষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে
• তার তুলনায় শারীরিক পরিশ্রম কম করা
• সারাক্ষণ বসে থাকা, প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ না থাকা।
শিশুদের ডায়াবেটিসের লক্ষণ
• রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ওজন কমে যায়
• অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া
• দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা
• অতিরিক্ত দুর্বলতা
• শিশুদের মাথাব্যথার সমস্যা শুরু হয়
• খেলাধুলায় আগ্রহ থাকে না
• মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।
শরীরে এর যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে শিশুর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি শিশুর ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তবে ওষুধের পাশাপাশি খাবারের দিকে প্রথমেই লক্ষ্য রাখতে হবে।
খাবারের তালিকায় পরিমাণে বেশি রাখতে হবে
পেয়ারা, আমলকি, আমড়া, কাঁচা আম, লেবুসহ টক ফল। মৌসুমী সবুজ শাক ও সবজি।
পরিমিত খেতে হবে
পেঁপে, আম, কাঁঠাল, কলাসহ মিষ্টি জাতীয় ফল। এছাড়াও ফাস্ট ফুড, অতিমাত্রায় তেল-চর্বিযুক্ত, ভাজা-পোড়া খাবার।
খাওয়া বন্ধ
চিনি, কোল ড্রিংস, মিষ্টি, আইসক্রিম- মিষ্টি জাতীয় খাবার।
সারাক্ষণ ফোন বা ট্যাবে গেম খেলা আর টিভি দেখার অভ্যাসও দূর করে শারীরিক পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। শুধু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুকেই নয়, সব শিশুর জন্য খোলা জায়গায় দিনে অন্তত এক ঘণ্টা খেলার ব্যবস্থা করতে হবে।