সরকারের আজ্ঞাবহ দাস হয়ে না থেকে যেদিন পুলিশ জনতার কাতারে এসে দাঁড়াবে, সেদিন বাংলাদেশে ধর্ষণ, সন্ত্রাসসহ সব অন্যায় দূর হবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
রোববার (৪ অক্টোবর) সারাদেশে অব্যাহত নারী ধর্ষণ, নিপীড়ন এবং ছাত্র নেতাদের পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এ মন্তব্য করা হয়।
এদিন দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিল সচিবালয়ের সামনে গেলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। এরপর সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের কাছে একটি শুভেচ্ছা কার্ডে পুলিশকে সুস্থ হয়ে ওঠার আহবান জানান ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়ের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক রেশমী সাবা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আসমানি আশা, ঢাকা মহানগরের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক সাদাত মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক চিত্রা ঘোষ পরমা, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নাজিফা জান্নাত প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ধর্ষণ একটি স্বাভাবিক ঘটনা, সেই দেশের পুলিশের কাছ থেকে নিপীড়ন ছাড়া অন্য কোনো কিছু আশা করাটাই দিবাস্বপ্ন। আমরা আশা করব পুলিশ খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে। পুলিশ সরকারের আজ্ঞাবহ দাস থেকে যেদিন জনতার কাতারে এসে দাঁড়াবে, সেইদিন বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণ, সন্ত্রাসসহ সব অন্যায় দূর হবে। আজকে আমরা পুলিশের সুস্থতা কামনা করার জন্য এসেছি।
সমাবেশে ছাত্রনেতারা আরও বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির এই দেশে নারীদের ওপর সহিংসতা নতুন কোনো ঘটনা নয়। অধিকাংশ ধর্ষণের মামলাতেই এই বিচারহীনতার কারণে ধর্ষকরা শাস্তির পরিবর্তে মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা বিকৃত অপরাধীর মানসিকতার মানুষদেরকে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাতে অভয় দিয়েছে। যার ফলে নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ বেড়েই চলছে। এই রাষ্ট্র নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।
ধর্ষণবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার দায়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতাদের পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানানো হয় সমাবেশ থেকে।