স্টাফ রিপোর্টার :
সাভারে আদালতের নির্দেশে দুইমাস পরে কবর থেকে ফল ব্যবসায়ির লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার সকালে সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের উপস্থিতিতে সাভারের ইমান্দিপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার একটি কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় লাশ উত্তোলনের সময় সাভার মডেল থানা ও সিআইডি পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, চলতি বছরের সাত আগষ্ট সাভারের ইমান্দিপুর এলাকার একটি বিল থেকে সাহাজ উদ্দিন নামের (৫০) এক ফল ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পরে ওই ফল ব্যবসায়ী পানিতে ডুবে মারা গেছে একথা ভেবে সেদিনেই নিহতের লাশ ইমান্দিপুর কেন্দ্রীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়। পরে নিহত ওই ফল ব্যবসায়ীর মেয়ে রাবেয়া জানতে পারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বাবাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে তাদের বাড়ির প্রতিবেশী ফাহাদ নামের এক যুবক।
এর পরে নিহতের মেয়ে রাবেয়া ১২ আগষ্ট ফাহাদকে প্রধান আসামী করে বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালত সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ ,সিআইডি পুলিশ ও সাভার মডেল থানা পুলিশকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়। পরে আজ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ সিআইডি,সাভার মডেল থানা,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নিহতের স্বজনদের উপস্থিতিতে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে।
নিহত ওই ফল ব্যবসায়ীর মেয়ে রাবেয়া অভিযোগ করে বলেন,গত সাত আগষ্ট তার বাবা রাস্তায় মর্নিং ওয়াক করতে বের হলে রাস্তায় ফাহাদ নামের এক যুবকের শরীরে কাদার পানি ছিটে যায়। এর জের ধরে ওই দিনেই তার বাবাকে বাড়ির পাশে স্থানীয় একটি বিলে তার বাবাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন ফাহাদ। এসময় নিহতের পরিবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। এবিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) ঢাকা জেলার এস আই আলম মিয়া বলেন,ওই ব্যক্তি হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন কিনা ময়না তদন্তের পরে জানাযাবে। নিহত ওই ফল ব্যবসায়ী ইমান্দিপুর এলাকার রসুল মিয়ার ছেলে।