বার্সায় আর থাকছি না- লিওনেল মেসির এই ঘোষণা নাড়িয়ে দিয়েছিল ফুটবল বিশ্বকে। ৯ দিন পর তিনি সিদ্ধান্ত পাল্টান। রিলিজ ক্লজ জটিলতায় আরও এক মৌসুম থাকতেই হলো আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে। তার এই সিদ্ধান্তে খুশি জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনি। ন্যু ক্যাম্পে মেসির থেকে যাওয়াকে ‘ইতিবাচক’ বলে মনে করছেন তিনি।
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপের জন্য দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইপর্ব শুরু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার লা বোম্বোনেরা স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। ক্লাবের খেলা শেষে এই ম্যাচ খেলতে সোমবার বুয়েন্স আয়ার্সে পৌঁছান মেসি ও তার জাতীয় দলের সতীর্থরা। গত দুই দিন ধরে স্কালোনির অধীনে অনুশীলন করছেন সব খেলোয়াড়। সেখানে মেসির সঙ্গে অনেক কথা হয়েছে কোচের। ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে বেশ নির্ভার দেখতে পেয়েছেন স্কালোনি।
আর্জেন্টিনার কোচের মতে, বার্সেলোনা না ছাড়ায় মেসি স্থির আছেন। নতুন ক্লাবে গেলে হয়তো এতটা চাপমুক্ত থাকতে পারতেন না। বৃহস্পতিবার স্কালোনি বলেছেন, ‘যখন সবকিছু ঠিকঠাক হলো তখন আমি লিওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং তাকে বেশ ধীরস্থির দেখলাম।
মেসির মনে আনন্দ খুঁজে পেয়েছেন এই কোচ, ‘এখানে সে আসার পর আমাদের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। এখানে এসে সে সুখী। তার ক্লাবেও সে এখন ভালো আছে। একটু দূরত্ব রেখে আমরা সবাই সমস্যার সমাধান চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম সে খেলুক এবং ফিট থাকুক। তার থেকে যাওয়াটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। সে এই ক্লাবকে জানে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা কিন্তু জড়িত হইনি, কারণ খেলোয়াড়দের নিজস্ব জগতে আমরা পা ফেলতে চাই না।
কাতার বিশ্বকাপের সময় মেসির বয়স হবে ৩৫ বছর। তাকে আবারও বিশ্বমঞ্চে দেখতে চান স্কালোনি, ‘আমরা বিশ্বকাপে জায়গা পেতে চাই আমাদের দেশের জন্য কিন্তু আরও কারণ আছে, যার মধ্যে একটি হলো- যেন মেসি খেলতে পারে। কিন্তু আমরা এমন কিছু আলোচনা করছি না, ম্যাচ ধরে ধরে আমরা এগোব।
রাশিয়া বিশ্বকাপে গতবার যেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল আর্জেন্টিনাকে। বাছাইয়ের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারিয়ে তারা বিশ্বমঞ্চে যাওয়ার টিকিট কাটে, ইকুয়েডরের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেন মেসি। আবারও ওই দলকে দিয়ে শুরু হচ্ছে তাদের বাছাই। স্কালোনি বলেছেন, ‘এটা কঠিন হতে যাচ্ছে। আমাদের একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল আছে, যেখানে প্রত্যেক খেলোয়াড় তাদের সেরাটা দেয়।