মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসানের ইনিংস দুইটিকে একপাশে রাখলে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে এখন পর্যন্ত বলার মতো পারফরম্যান্স নেই ব্যাটসম্যানদের। বিশেষ করে জাতীয় দলের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স রীতিমত হতশ্রী। বাকিদের একেবারে তলানিতে।
তিন দলের বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের লড়াই হচ্ছে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। প্রথম লিগের খেলার শেষ দিনে মুশফিকুর রহিম ছুঁয়েছেন তিন অঙ্ক। সেদিনই মেহেদী হাসান করেন ৮২ রান। এর আগে শুধুই ছিল বোলারদের রাজত্ব।
আজ শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় লিগের খেলা। ফিরতি লড়াইয়ে তিন দল আবার একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। প্রথম লিগে প্রত্যেক দল একটি করে ম্যাচ জিতেছে, একটি করে হেরেছে। এবার শুরু হচ্ছে শিরোপার লড়াই। মিরপুর শের-ই-বাংলায় দুপুর দেড়টায় আজ মাঠে নামবে মাহমুদুল্লাহ একাদশ ও নাজমুল একাদশ। প্রথম মুখোমুখিতে মাহমুদউল্লাহ একাদশকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল নাজমুল একাদশ। এবার কি প্রতিশোধ নিতে পারবে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
নাজমুলরা নিজেদের শেষ ম্যাচ হেরেছে তামিম ইকবালদের বিপক্ষে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচ হারলেও মুশফিকুর রহিমের ১০৩ রানের ইনিংসটি ছিল ঝকঝকে। বলার অপেক্ষা রাখে না তার ইনিংসটি দেখে বাকিরাও হয়েছেন অনুপ্রাণিত। লিটন, সৌম্য, ইমরুল, সাব্বিররা নেই রানের ফোয়ারায়। তাদের থেকে টিম ম্যানেজমেন্টের বড় প্রত্যাশা। পাশাপাশি তরুণ নাঈম, ধ্রুব, সাইফ, শান্তদের দিকেও তাকিয়ে তারা। মিরপুরের ২২ গজ রানপ্রসবা নয়। তবে একেবারেই যে খেলার অনুপযোগী তাও নয়। ব্যাটসম্যানরা দৃষ্টিকটু শটে আউট হচ্ছেন বারবার। তাতে প্রশ্ন উঠছে উইকেট নিয়ে।
তবে বোলারদের কৃতিত্বও দিতে হবে। তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, সুমন খান, আল-আমিন হোসেন, মুকিদুল হাসান মুগ্ধরা পেস বোলিংয়ে দুর্দান্ত। লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, দুই অফ স্পিনার নাঈম হাসান ও মিরাজও দারুণ বোলিং করছেন।
এবার তাদের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদের জ্বলে ওঠার পালা। বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠলে টুর্নামেন্ট আরো রং ছড়াবে, আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। সেই অপেক্ষাতেই আছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা।
আজকের ম্যাচ হারলে ফাইনালে ওঠার আশা শেষ হবে না কোন দলেরই। তবে কঠিন হয়ে যাবে রাস্তাটা। তবে বিজয়ী দল এগিয়ে যাবে অনেকটাই।