উপ-নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপির দেওয়া কর্মসূচি ঘিরে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হলে, তা প্রতিহত করার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রতিককালে উপ-নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছে। তাদের বিরোধিতা আর মিথ্যাচার এখন অস্তিমজ্জার অংশ হয়ে গেছে।
‘কোনো ইস্যুতে বিএনপি স্থির নয়। মাঠের রাজনীতিকে তারা এখন ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবহার করছে। দলটির রাজনীতি এখন বহুদূর থেকে ইথারে ভেসে আসে’, বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জনরায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু কর্মসূচির নামে জনগণের শান্তি ও স্বস্তি নষ্ট করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তা প্রতিহত করবে।
নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা না করে বিএনপির কোনো ধরনের পরামর্শ থাকলে তা উত্থাপন করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
‘কমিশনকে শক্তিশালী করতে সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ঢালাও সমালোচনা না করে গঠনমূলক অভিযোগ দিলে কমিশন নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেন বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতায় যেতে যায়। তিনি বলেন, জনগণ তা হতে দেবে না। তাই ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা তৈরিতে বিনিয়োগ না করে জনগণের পাশে থাকুন। জনগণের মনের ও চোখের ভাষা বুঝতে না পারাই বিএনপির ব্যর্থতা বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শেখ হাসিনা সরকারকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে জনগণকে।
‘এদেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে। মধ্যবর্তী নির্বাচন নয়, সংবিধান অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে। জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে যাদের নির্বাচিত করবে তারাই ক্ষমতায় যাবে।