স্টাফ রিপোর্টার:
নারী নির্যাতনের ঘটনা নির্মূলে সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলার কথা না বলে বিএনপির সরকারের পদত্যাগ চাওয়া এবং নতুন নির্বাচনের দাবিকে মামা বাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
করোনার সময়ে বিশ্বব্যাপী সামাজিক অস্থিরতা বাড়ার ঘটনা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিভিন্ন দেশে বেড়েছে নারী, শিশু নির্যাতন। গার্ডিয়ান পত্রিকার হিসেব অনুযায়ী যুক্তরাজ্যেই গত এক বছরে ৫৫ হাজার নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপজুড়ে এই প্রবণতা ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশেও ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ’
নারী নির্যাতনের ঘটনায় সরকারের কঠোর অবস্থান এবং পদক্ষেপ উল্লেখ করে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন সংশোধনের উদাহরণ দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঊর্ধ্বমুখী ঘটনা প্রবাহের মধ্যেও কোনো বিরোধী দল সরকারের পতন কিংবা সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন করছে না। সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে এসব ঘৃণ্য অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ও বন্ধ করতে হবে। ’
কিন্তু বিএনপি এ থেকে কখনো মধ্যবর্তী, কখনো নতুন নির্বাচনের দাবি তুলেছে। সম্পর্কহীন, অযৌক্তিকভাবে, যা দুনিয়ার কোনো দেশেই এই ধরনের অযৌক্তিক দাবি বিরোধী দল উত্থাপন করেনি। ইস্যু না পেয়ে আন্দোলন করতে পারছে না। তাই এই ইস্যু নিয়ে সরকারের পদত্যাগ মামা বাড়ির আবদারের মতোই, বলেন তিনি।
সম্প্রতি উপ-নির্বাচনে ভোটার উপস্থিত ঢাকায় কম হলেও দেশের অন্যস্থানে ভালো ছিলো বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এজেন্ট না দিয়ে ভোটের দিন কার্যক্রম থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াস চালায়, যা তাদের পুরনো অপকৌশল। তাদের জনসমর্থন দিন দিন নিম্নমুখী। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা নির্বাচন কমিশনের ওপর দোষ চাপায়।’
বিএনপির সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলার আগে গত ১২ বছরে দলটির নির্বাচন এবং আন্দোলনের ব্যর্থতার দায়ে শীর্ষ নেতৃত্বের পদত্যাগ করা উচিত বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিএনপিকে সবচেয়ে ‘ব্যর্থ বিরোধী দল’ হিসেবেও অভিহিত করে ওবায়দুল কাদের।