স্টাফ রিপোর্টার
১৪ দলের অস্তিত্ব আছে কিনা এটা কেবল জনগণের প্রশ্ন নয়, ১৪ দলের নেতাকর্মীদেরও প্রশ্ন, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাসেল আহম্মেদ খানের চতুর্দশ মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত স্মরণ সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ১৪ দলের বিক্ষোভ মিছিলে পল্টন মোড়ে জামায়াত-শিবিরের গুলিতে যুব মৈত্রী নেতা রাসেল আহম্মেদ খান মারা যান।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘১৪ দলের আন্দোলনের শহীদ রাসেল আহমেদ খান ঘটনার বিবর্তনে এখন দলীয় শহীদে পরিণত হয়েছেন। ১৪ দলের আন্দোলনের ফসল রাজনৈতিক ক্ষমতা একইভাবে দলীয় ক্ষমতায় পরিণত হয়েছে। পত্রিকায় বিবৃতি, দিবস পালন বা এ ধরনের কাজ ছাড়া ১৪ দলের অস্তিত্ব আছে কিনা, এটা কেবল জনগণের প্রশ্ন নয়, ১৪ দলের নেতাকর্মীদেরও প্রশ্ন।’
গণমাধ্যমে বলা হয়, মন্ত্রিত্ব না পাওয়ায় ১৪ দলের শরীকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দূরত্ব বাড়ছে। কিন্তু এই ১৪ দলের শরিক দল যে নীতি-আদর্শের প্রশ্নে মন্ত্রিত্ব পেয়েও তা গ্রহণ করেনি, সে কথা তারা ভুলে যান। ১৪ দল কেবল ক্ষমতার জন্য গঠিত হয়নি, হয়েছিল দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়ন, হত্যা-নির্যাতনের রাজনীতির অবসান ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র ও রাজনীতির পুনর্গঠনের জন্য, বলেন মেনন।
এর আগে পার্টি অফিস চত্বরে যুব মৈত্রী স্থাপিত শহীদ রাসেল আহম্মেদ খানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা।
এ সময় পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড আনিসুর রহমান মল্লিক, কমরেড কামরুল আহসান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড আমিরুল হক আমিন, কমরেড মোস্তফা আলমগীর রতন, কমরেড সাব্বাহ আলী খান কলিন্স, কমরেড আবুল হোসেন, কমরেড কিশোর রায়, কমরেড মুর্শিদা আখতার নাহার, কমরেড মুতাসিম বিল্লাহ সানি, কমরেড কাজী মাহমুদুল হক সেনা উপস্থিত ছিলেন।