1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন

সমুদ্রসম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে কাজ করবে

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৮৫ বার দেখা হয়েছে

সমুদ্রসম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার (০৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তর কক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ ও অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশ মিলে কিভাবে সমুদ্রসম্পদ আহরণ করা যায় এবং আহরিত সম্পদ কিভাবে দুদেশের চাহিদা অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানি করা যায় সে লক্ষ্যে ভারত সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। এর মধ্যে মেরিটাইম রিসোর্স সেন্টার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ভারত আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সমুদ্রে মৎস্যসম্পদ পেতে স্থান শনাক্ত করতে স্যাটেলাইট ডাটা ব্যবহার, অত্যাধুনিক ফিশিং ট্রলার দেওয়া, জেলেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সুরক্ষা, আবহাওয়া সংক্রান্ত সহযোগিতাসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিতে আগ্রহী ভারত।

এছাড়াও আমাদের সমুদ্র বা উপকূলীয় এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ থাকার সময় যাতে অবৈধভাবে কোনো নৌকা বা জাহাজ মাছ ধরতে না পারে সেজন্য ভারতীয় কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘ডেইরি, পোল্ট্রি ও মৎস্যখাতে উভয় দেশ কিভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মাছ ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি ও চাহিদা অনুযায়ী বিদেশে রপ্তানির ব্যাপারে ভারত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। যে সময় বাংলাদেশে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে সে সময়ে যৌথভাবে মাছ আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে আমাদের ঐকমত্য হয়েছে। আগামীতে মা ইলিশ আহরণ ও জাটকা আহরণ বন্ধে একই সময়ে আমাদের সঙ্গে ভারতও ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বড় ত্যাগ ও অবদানের কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাদের সৈন্যরা আমাদের সঙ্গে মিত্র বাহিনীতে যুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের যেকোনো প্রয়োজনে ভারত পাশে দাঁড়ায়। যেকোনো সময়ের তুলনায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন অনেক ভালো। ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও নিবিড় করে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যেতে

এছাড়া বাংলাদেশে ডেইরিখাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে এখাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে ভারতে বিশেষ করে ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলেও জানান তিনি। এজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প গ্রহণেরও কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury