প্রতিশোধের রাজনীতি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয়, এ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো প্রতিশোধের রাজনীতি করে না।’
শনিবার (২১ নভেম্বর) মিরপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসির দোতলা বাস সার্ভিস উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া। সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ এবং পরিচর্যায় গণতন্ত্র বিকশিত হয়। কিন্তু বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বললেও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে যে ভূমিকা দরকার তা থেকে তারা অনেক দূরে অবস্থান করে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে। বিএনপি একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলে, অপরদিকে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সুস্বাস্থ্য ও রোগমুক্তি কামনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ দেশের সবচেয়ে সহিষ্ণু রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, এ দাবি করে মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের নির্মমতা দেখেছে। দেখেছে ৩ নভেম্বরের অমানবিকতা। গ্রেনেড হামলাসহ ২০ বারের মতো শেখ হাসিনাকে হত্যার অপপ্রয়াসও দেখেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ দেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাসনির্ভরতা, ষড়যন্ত্র আর হত্যার জনক বিএনপি। তারা সেটারই চর্চা করছে।’
আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন বলেই জনগণের সঙ্গে ছিল এবং আছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের।
সমালোচনা রুখতে নাকি সরকার বিরোধীদের গুম করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার। সমালোচনা করলে গুম করা হয়, এমন কোনো তথ্য কি বিএনপির কাছে আছে?’ এ ধরনের অভিযোগ পরিহার করার জন্য বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সমালোচনাকে ভয় পায় না, জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গঠনমূলক সমালোচনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার সৎ সাহস রাখে।
অদক্ষ চালক যেন কোনোভাবেই গাড়ির ড্রাইভিং সিটে না বসতে পারে, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাসের চালকসহ সব স্টাফকে বাধ্যতামূলকভাবে নির্ধারিত ড্রেস পরতে হবে।