1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে সুলতানুল আজম খান আপেলকে নৌকা প্রতীকের মেয়র চায় পৌরবাসী

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২০
  • ৬৪৩ বার দেখা হয়েছে

এস এম আকরাম হোসেন :

আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্জ্ব সুলতানুল আজম খান আপেল। দলীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং পৌরসভার নানা-শ্রেণী পেশার মানুষ মনে করেন দলীয় মনোনয়ন পেলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন এবং তিনিই আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে মানিকগঞ্জ পৌরসভার প্রথম মেয়র হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যান্য প্রার্থীর তুলনায় তিনি জনসেবা এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার এগিযে আছেন। একারণে, আপেলকেই নৌকা প্রতীকের মেয়র দেখতে চায় মানিকগঞ্জ পৌরবাসী।

মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতানুল আজম খান আপেল মনে করেন, এবারের নির্বাচনে তিনিই আওয়ামীলীগের যোগ্যপ্রার্থী।কেননা, গত নির্বাচনে যিনি বিজয়ী হয়েছেন তিনি (গাজী কামরুল হুদা সেলিম)দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল। তিনিও এবার দলের কাছে মনোনয় চেয়েছেন। আরেকজন প্রার্থী, সাবেক মেয়র মো. রমজান আলী। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল করেছেন। তিনি আওয়ামীলীগকে বুকে ধারণ করেন না। তিনি কখনও তার বক্তব্যে ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ বলেন না। পৌরবাসী তাঁর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।তাই এবারের নির্বাচনে নিজেকে নৌকা প্রতীকের যোগ্য মেয়র প্রার্থী মনে করেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল। তিনি আরও বলেন, আমি গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু দলীয় শীর্ষ নেতারা আমাকে এবারের নির্বাচনে মনোনয়ন দিবেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে আমি গতবারের নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছিলাম এবং নৌকার প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছিলাম।

একারণে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে আমার দাবী অন্যান্যদের চেয়ে একটু বেশী। দলীয় মনোনয়ন পেলে আমি অবশ্যই জয়লাভ করবো এবং মানিকগঞ্জ পৌরসভাকে দুর্নীতি মুক্ত করবো। আমি সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবো।’

বর্নাঢ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী সুলতানুল আজম খান আপেল ১৯৭৭ সালে মানিকগঞ্জ মডেল হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং পরবর্তীতে সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছেন। তিনি ১৯৭৮ থেকে ৮০ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৮০ থেকে ৮৬ পর্ন্ত জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনকি সম্পাদক, ১৯৮৭ থেকে ৯১ পর্ন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯০ সালের এরশাদ-বিরোধী আন্দোলনে তিনি সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের সভাপতি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্ন্ত জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৩ থেকে ২০০৪ সাল পর্ন্ত জেলা আওয়ামীলীগের কার‌্যকরী সদস্য, ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্ন্ত যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং ২০১৫ সাল থেকে অদ্যাবধি যোগ্যতার সাথে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

রাজনৈতিক অঙ্গণে সফলতার সাথে দায়িত্বপালনরে পাশাপাশি তিনি সফল হয়েছেন ব্যবসা ক্ষেত্রেও। তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্ন্ত ৪বার জেলার শ্রেষ্ঠ করদাতা নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া, তিনি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন- মানিকগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রীজের নির্বাচেন পরপর তিনবার পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়ে এখনও সেই পদে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি মানিকগঞ্জ ডেভেলপার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, মানিকগঞ্জ এসি লিংক পরিবহনের চেয়ারম্যান এবং জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি।

 

ইতিপূর্বে তিনি মানিকগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ৫০-শয্যাবিশিষ্ট মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

এছাড়াও তিনি নানাধরণের সামাজিক কর্মাকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। মানিকগঞ্জের ৮২টি সামাজিক সংগঠন নিয়ে গঠিত জেলা নাগরিক ও পেশাজীব ঐক্য পরিষদের সভাপতি। গত ২৫ বছর ধরে মানিকগঞ্জ মত্ত উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৪ বছর ধরে জান্না উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বও পালন করছেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী আলহাজ্জ্ব জাহিদ মালেক এমপির অত্যন্ত আস্থাভাজন হিসেবে তিনি দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি সরকারের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বিশেষ ভূমিকা পালন করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

বিগত সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, এই নেতা বন্যা ও করোনা সংকটকালে পৌরবাসীকে নানাভাবে সহযোগিতা দিয়েছেন। দু:স্থ মানুষকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা এবং শিশুদের জন্য শিশু খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ফোন কলের মাধ্যমে, তিনি মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গোপনে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশারী ও মশার কয়েল বিতরণ এবং মশক নিধনে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় স্প্রে করেছেন।

এবারের নির্বাচনে তাকে সমর্থন জানিয়েছেন ৮২টি সামাজিক সংগঠন।সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে গঠিত জেলা নাগরিক ও পেশাজীব ঐক্য পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে মেয়র প্রাথী হিসেবে সমর্থন জানিয়েছেন।

সংগঠনটির মহাসচিব অলিয়ার রহমান খান বলেন, সংগঠনটির ২০১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটি রয়েছে। এরমধ্যে সহ সভাপতি হিসেবে আলহাজ্জ্ব বশির রেজা, আব্দুস সালাম, মো: রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ  হানিফ, মো: লাবলু মিয়া, মো: আয়নাল হকসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা রয়েছেন এই সংগঠনের নেতৃত্বে। সংগঠনটির মূল কমিটির পাশাপাশি রয়েছে ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট মহিলা কমিটি এবং যুবকদের জন্য ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট যুব কমিটি।

মহিলা কমিটির সভাপতি শুভ্রা খান মজলিশ এবং সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার মুক্তা,  যুব কমিটির সভাপতি মাহবুবুল আলম সুমন এবং সাধারণ সম্পাদক ফাহমিদ হোসেন খান রাসেলের নেতৃত্বে চলছে প্রচারণার কাজ। এই তিনটি সংগঠনের রয়েছে ওয়ার্ড কমিটি।ইতিমধ্যে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে গঠিত কমিটির সদস্যরা সুলতানুল আজম খান আপেলকে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার লক্ষ্যে নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়াও গঠন করা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনা্ কমিটি। ২৬টি ভোট কেন্দ্রের জন্য গঠন করা হয়েছে কেন্দ্র পরিচালনা কমিটি।

সামাজিক সংগঠনের পাশাপাশি সুলতানুল আজম খানকে সমর্থন জানিয়েছেন পৌর এলাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, মসজিদের ইমামবৃন্দ, মন্দিরের সদস্যবৃন্দ, ওলামা মাশায়েখ পরিষদসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।সুলতানুল আজম খান আপেলের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন এবং গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরবাসী মনে করেন এবারের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকের প্রাথী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। তিনিই হবেন, মানিকগঞ্জ পৌরবাসীর প্রথম আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র।

 

 

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury