1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের পর্যাপ্ত তথ্য নেই: জাতিসংঘ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ৪১০ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিতে শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সংস্থাটির কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই বলে জানিয়েছে তারা।

বুধবার (২ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শুরু করার সম্ভাবনা বিষয়ক কিছু প্রতিবেদন সম্পর্কে জাতিসংঘ অবগত রয়েছে। উক্ত স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে, অথবা শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। স্থানান্তরের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই।

ভাসান চরে স্থানান্তরের বিষয়ে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন প্রাসঙ্গিক, নির্ভুল এবং হালনাগাদ-কৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তথ্যসমৃদ্ধ এবং স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ বরাবরই আহ্বান জানিয়ে এসেছে এবং বর্তমান পরিস্থিতিতেও জাতিসংঘ এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করছে। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে যে উক্ত দ্বীপে স্থানান্তর শরণার্থীদের স্বেচ্ছা-নির্ভর হবে এবং জাতিসংঘ এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতির প্রতি সন্মান প্রদর্শনের জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে।

যেসব শরণার্থী ভাসান চরে স্বেচ্ছায় স্থানান্তরিত হতে চাইবেন উক্ত দ্বীপে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবিকার নিশ্চয়তা এবং উক্ত দ্বীপ থেকে মূল ভূ-খণ্ডে চলাচলের স্বাধীনতাসহ সব মৌলিক অধিকার, এবং মৌলিক সেবা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ গুরুত্বারোপ করেছে।  এটি ভাসানচরে একটি কার্যক্ষম ও নিরাপদ জনপদের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভাসান চর প্রকল্পের ঘোষণার সময় থেকে এই পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক ধারণা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতিসংঘ গঠনমূলক আলোচনার প্রস্তাব রেখেছে এবং সরকারের সাথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত, পদ্ধতিগত এবং বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিবেচনা করেছে। এই আলোচনা চালিয়ে যেতে জাতিসংঘ এখনও আগ্রহী।

এছাড়াও, ভাসানচরে যেকোনো স্থানান্তরের আগে সুরক্ষা বিষয়ক একটি প্রায়োগিক মূল্যায়ন (টেকনিক্যাল প্রোটেকশন এসেসমেন্ট) করার জন্য জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের এই নিরপেক্ষ মূল্যায়নে শরণার্থীদের বাসস্থান হিসেবে ভাসানচরের নিরাপত্তা, প্রায়োগিক সম্ভাব্যতা, স্থায়িত্ব এবং শরণার্থীদের সুরক্ষা কাঠামো এবং তাদের সহায়তা ও সেবা-গ্রহণের অবকাঠামোর সার্বিক পর্যালোচনা করা হবে।

সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে, জাতিসংঘ প্রায়োগিক এবং সুরক্ষা বিষয়ক মূল্যায়ন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।  জাতিসংঘ সরকারের ভাসানচর প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত হতে পারবে কি না সেটা নির্ধারণে এই মূল্যায়ন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে। যদি তাই হয়, তবে সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা, এবং আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিকল্পনা এবং বাজেট প্রস্তুতকরণে আরও কিছু পরবর্তী কার্যক্রমের প্রয়োজন হবে।  এদের সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সেবা কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে।

কক্সবাজারে বসবাসরত প্রায় ৯০০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য কার্যকর ও সুদক্ষ মানবিক সহযোগিতা কার্যক্রমে সরকারের নেতৃত্বমূলক ভূমিকাকে সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছা-নির্ভর, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্থায়ী প্রত্যাবাসনসহ তাদের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে।

বাংলাদেশের সরকার এবং এদেশের জনগণ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষা এবং আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে যে উদারতা এবং মানবিক মূল্যবোধের পরিচয় দিয়েছে, এজন্য জাতিসংঘ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে এবং লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে যে মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তাতে অংশীদারিত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি অটুট রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury