১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয়েছিলে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের চলমান সংগ্রামের মূললক্ষ্য গণতন্ত্র ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করা।’
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ উপলক্ষে এক বিবৃতিতে ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের দুশমনেরা পরাজিত হলেও আজও তারা চুপ করে বসে নেই। তাই স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পরাজিত শত্রুরা চক্রান্ত করে আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্তরীণ করে রেখেছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বারবার অপশক্তিগুলো গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করে আমাদের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু দেশপ্রেমিক জনগণ সে অপচেষ্টাকে শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে। আমাদের গণতন্ত্র বার বার হোঁচট খেয়েছে। কিন্তু এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সব বাধাকে অতিক্রম করে গণতন্ত্রের পথচলাকে নির্বিঘ্ন করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শৃঙ্খলমুক্ত মুক্ত নয়। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী একদলীয় শাসনের চরিত্রগুলো ধীরে ধীরে ফুটে উঠছে বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর আচরণে।’
ফখরুল বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন করে আবারও সারা জাতিকে একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের শৃঙ্খলে বন্দি করে মানুষের নাগরিক স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা হয়েছে। আমাদের গণতন্ত্র আজও নামে-বেনামে একদলীয় ফ্যাসিবাদের আক্রমণে আক্রান্ত। ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী ও নিরঙ্কুশ করার জন্য আজ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে ফেলার আয়োজন চলছে।’ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের সে আয়োজন নস্যাৎ করে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।