এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ফুটবলে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ চোখে পড়ার মতো। কিন্তু দুজনের কেউই কখনও একে অন্যকে ঘায়েল করে কথা বলেননি। মাঠে তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাসিখুশি দুজনকে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে তারা নিজেদেরকে উদ্বুদ্ধ করার কাজে লাগিয়েছেন। মিডিয়া জগতে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বলা হলেও রোনালদোর তাতে আপত্তি।
গত বছরের উয়েফা বর্ষসেরা অনুষ্ঠানে মেসি বলেছিলেন, তিনি রোনালদোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেন। এমনকি পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের সঙ্গে ডিনার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। যেদিন রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ইতালি পাড়ি জমান সেদিনও আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড বলেছিলেন, রোনালদোর সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা আজীবন মনে থাকবে।
দুই বছর পর বুধবার ন্যু ক্যাম্পে দেখা হয়ে গেলো মেসি ও রোনালদোর। ম্যাচের শুরুর আগে একে অন্যকে জড়িয়ে ধরলেন। বিশ্বকে জানিয়ে দিলেন তাদের মধ্যে কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে জুভেন্টাস হারানোর পর সিআরসেভেন জানালেন, মেসিকে কখনও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখেননি তিনি।
স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল মুভিস্টারকে রোনালদো বলেছেন, ‘তার সঙ্গে আমার সবসময় আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে ১২, ১৩ কিংবা ১৪ বছর ধরে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ছিলাম। আমি কখনও তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখিনি। দলের জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো, সেটাই আমরা দুজন করার চেষ্টা করেছি সবসময়।’
পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী বলেছেন, ‘আমরা জানি ফুটবলে সংবাদমাধ্যম ও বিভিন্ন শোয়ের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা বলা হয়। কিন্তু তার সঙ্গে আমার সবসময় সুসম্পর্ক।
মেসি এদিন সাতটি শট লক্ষ্যে রেখেছিলেন। ২০০৩-০৪ মৌসুমের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবার কোনও খেলোয়াড় এত বেশি শট খেলেও গোল করতে পারেননি। কিন্তু রোনালদো প্রথমবার ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় বার্সার বিপক্ষে গোল করলেন, যা চ্যাম্পিয়নস লিগে তার ১৩৩ ও ১৩৪তম। বার্সেলোনাকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘বার্সেলোনা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা এখনও বার্সেলোনাই। সত্যি কথা হচ্ছে আমরা খুব খুশি। জানতাম এটা কতটা কঠিন ম্যাচ। আমরা ভালোই খেলেছি।